টাঙ্গাইল-৪ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ হাছান ইমাম খান ওরফে সোহেল হাজারীর সংসদ সদস্য পদের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন হাইকোর্ট।
কোন কর্তৃত্ববলে তিনি ওই আসনে সংসদ সদস্য হিসেবে পদে আছেন তা জানতে রুল জারি করা হয়েছে। আইনসচিব, জাতীয় সংসদের স্পিকার, জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সচিব, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব, টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক ও এসপি, কালিহাতী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ওসি এবং টাঙ্গাইল-৪ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ হাছান ইমাম খান ওরফে সোহেল হাজারীকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
হলফনামায় শিক্ষাগত যোগ্যতার তথ্যে গরমিল থাকার অভিযোগ এনে কালিহাতী উপজেলার এক বাসিন্দার করা রিটের প্রাথমিক শুনানির পর বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার এ রুল দেন।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মো. বোরহান খান।
আইনজীবী বোরহান খান পরে সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই সংসদ সদস্য ১৯৯১-১৯৯২ সেশনে টাঙ্গাইলের সরকারি মাওলানা মোহাম্মদ আলী কলেজের ভিপি ছিলেন। কলেজের নির্বাচন করার যোগ্যতা ছিল স্নাতক পাস। কিন্তু নির্বাচনী হলফনামায় তিনি ১৯৯৬ সালে উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) পাস করেছেন বলে তথ্য দিয়েছেন। তার মানে নির্বাচনী হলফনামায় তিনি মিথ্যা তথ্য বা ভুল তথ্য দিয়েছেন। যে কারণে রিট আবেদনটি করা হয়েছে। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন। ’
রিট আবেদনটি করেন টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা মো. মোখলেসুর রহমান।
এ জাতীয় আরো খবর..