×
  • প্রকাশিত : ২০২২-০৫-২৭
  • ৬১ বার পঠিত
একুশের অমর সংগীতের রচয়িতা আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর মরদেহ সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় আগামীকাল শনিবার (২৮ মে) ঢাকা পৌঁছবে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে (ফ্লাইট নম্বর বিজি ২০২) তার মরদেহ আনা হবে। আজ শুক্রবার (২৭ মে) পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছ।  

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, শনিবার বেলা ১১টার দিকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গাফ্‌ফার চৌধুরীর মরদেহ পৌঁছাবে।


মরদেহ গ্রহণ করবেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। দুপুর ১টার দিকে জাতীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাখা হবে।  
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, এরপর বিকেল সাড়ে ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বিকেল ৪টায় গাফ্‌ফার চৌধুরীর মরদেহ জাতীয় প্রেসক্লাবে আনা হবে। পরে বিকেল সাড়ে ৫টায় তার মরদেহ মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে সমাহিত করা হবে বলে জানা গেছে।

যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে গাফ্ফার চৌধুরীর মরদেহ সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে বাংলাদেশ হাইকমিশন, লন্ডন।

তিনি বলেন, সব কিছু ঠিক থাকলে শুক্রবার সন্ধ্যায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি বিমান হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে লাশ নিয়ে রওনা দিয়ে শনিবার বাংলাদেশ সময় দুপুরে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছবে। একই ফ্লাইটে গাফ্ফার চৌধুরীর পরিবারের সদস্যদেরও ঢাকায় প্রেরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

হাইকমিশনার জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহযোগিতায় ১৯৭৪ সালে আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী তাঁর স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য লন্ডন আসেন। প্রায় পাঁচ দশক পর বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী স্বদেশ ভূমিতে, তাঁর প্রিয় স্ত্রীর কবরের পাশে তাঁকে দাফনের ব্যবস্থা করেছেন।

তিনি আরো বলেন, আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী গত ১৯ মে মারা যান। সেদিন থেকেই বাংলাদেশ হাইকমিশন, লন্ডন সার্বক্ষণিক মরহুমের পরিবারের পাশে রয়েছে। ২০ মে ব্রিকলেন মসজিদে তাঁর প্রথম জানাজার পর পূর্ব লন্ডনের ঐতিহাসিক শহীদ আলতাব আলী পার্কের শহীদ মিনারে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সর্বস্তরের মানুষ তাঁর প্রতি শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করে। গত ২৩ মে বাংলাদেশ হাইকমিশন, লন্ডন তাঁর স্মরণে এক মিলাদ মাহফিল ও শোকসভার আয়োজন করে।

'গাফ্ফার চৌধুরীর মৃত্যুর পর থেকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, ব্রিকলেন মসজিদ কর্তৃপক্ষ, ব্রিকলেন ফিউনারেল সার্ভিস ও শহীদ আলতাব আলী পার্ক কর্তৃপক্ষসহ ব্রিটিশ-বাংলাদেশি কমিউনিটির সর্বস্তরের মানুষের কাছ থেকে আমরা সহযোগিতা পেয়েছি' বলেও জানান হাইকমিশনার।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat