ভারতের অন্ধ্র উপকূল ও তত্সংলগ্ন পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ গতকাল বুধবার রাতে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়। আজ বৃহস্পতিবার তা নিম্নচাপে পরিণত হবে। এর প্রভাবে আগামী শনিবার পর্যন্ত দেশের অনেক জায়গায় বিচ্ছিন্নভাবে থেমে থেমে বৃষ্টি হবে। তবে উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টি বেশি হবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত আগের তিন দিনের মতোই চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সতর্কসংকেত দেখাতে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ সময় উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার সব নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়। গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়।
জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক কালের কণ্ঠকে বলেন, গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়া ঘূর্ণিঝড়টি আজ নিম্নচাপে পরিণত হবে। তবে দেশে বিচ্ছিন্নভাবে আগামী শনিবার পর্যন্ত কমবেশি বৃষ্টিপাত হতে পারে। বিশেষ করে সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগসহ ভোলা, সন্দ্বীপ, হাতিয়া এবং আরো বেশ কিছু জায়গায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেশি হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের দুপুর ১২টার সতর্কবার্তায় বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় অশনির অবস্থান জানিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, গতকাল দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৩২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৩০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ১৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ১৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।
গতকাল আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ী দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ সহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
এ জাতীয় আরো খবর..