×
  • প্রকাশিত : ২০২২-০১-০৮
  • ১৭৯ বার পঠিত
ওমর ফারুক, ডামুড্যা (শরীয়তপুর) : শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামি ব্যাংকের গ্রাহকের ১৬ লক্ষ টাকার এফডিয়ার থেকে ৮ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে তাঁরই পুত্র বধু। তবে ব্যাংকের ব্যবস্থাপক মো. আমজাদ হোসেনের বিচক্ষণতায় সফল হয়নি প্রতারক চক্র। জালিয়াতির অভিযোগ ওঠা ব্যক্তির নাম শান্তা (১৮)। তিনি পূর্ব ডামুড্যা ইউনিয়ন ৫ নং ওয়ার্ডের জহু মোল্লা কান্দীর নাইম গাজীর স্ত্রী। আর ঘটনার শিকার ব্যক্তির নাম নিলুফা (৬০)। তাঁর বাড়ি পূর্ব ডামুড্যা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের জহু মোল্লা কান্দীতে। তাঁর স্বামী নান্নু গাজী। ব্যাংকের কর্মকর্তা, গ্রাহক ও প্রতারকদের সাথে কথা বলে  জানা গেছে, শান্তা (১৮) তাঁর বৃদ্ধ শ্বাশুড়িকে মিথ্যা কথা বলে তাঁহার নামে থাকা ১৬ লক্ষ টাকার এফডিআরের চেক নিয়ে একজন ছেলেকে নকল স্বামী ও ঐ ছেলের বোন কে নকল ননদ সাজিয়ে ৮ লক্ষ টাকা উত্তোলনের জন্য আসে। তাদের কথাবার্তা ও গতিবিধি সন্দেহ হলে ব্যাংকের ব্যবস্থাপক আমজাদ হোসেন কাগজপত্র দেখে সেখান থেকে মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে ফোন দিলে শান্তার স্বামী নাইম গাজী বলেন, ওঁরা প্রতারক ওঁরা আমার মায়ের টাকা হাতিয়ে নেয়ার জন্য এসেছে ওদের কে টাকা দিবেন না। এবং ওদের কে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেন।  এদিকে হোটেল বয় নাজমুল শান্তার তৈরি করা স্বামী বলেন, শান্তার সাথে আমার হোটেলে পরিচয় হয়। এরপর থেকে আমার সাথে শান্তার মোবাইলে নিয়মিত কথা হয়। তাই আমি শান্তার কথাতেই তাঁর স্বামী সাজি এবং আমার বোনকেু তাঁর ননদ সাজাই। এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে প্রতারক গৃহবধূ শান্তা বিভিন্ন ধরনের কথা বলতে থাকে। পরবর্তীতে নাজমুলের সাথে তাঁর সম্পর্কের কথা স্বীকার করেন। তাকে স্বামী পরিচয় দেয়ার কথা জিজ্ঞেস করলে এবিষয়ে কোন উত্তর দেয়নি। ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামি ব্যাংক লিঃ ডামুড্যা শাখার ব্যবস্থাপক মো. আমজাদ হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমি বর্তমানে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছি। তবে ওর মূল স্বামীর সাথে কথা হয়েছে। সে ওদের কে পুলিশের হাতে তুলে দিতে বলেন। এরিমধ্য পূর্ব ডামুড্যা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদ পারভেজ লিটন কে ফোন দিলে তিনি জানান পারিবারিক ভাবে এটা সমাধান করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat