×
  • প্রকাশিত : ২০২২-০১-০৪
  • ১২১ বার পঠিত
স্টাফ রিপোর্টার : বরগুনায় অসহায় এক কিশোরীকে ধর্ষণের পর অন্ত:সত্ত্বা করার অভিযোগে বাবা ও ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ওই কিশোরী (১৫) বর্তমানে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। সোমবার কিশোরীর মা বাদী হয়ে বরগুনা থানায় ধর্ষণের মামলা দায়ের করেছেন। এর আগে রোববার রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাদের গ্রেপ্তার করে বরগুনা থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- বরগুনা পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম (৫২) ও তার ছেলে আরিফ (২৬)। গতকাল সোমবার তাদের আদালতে হাজির করা হলে বিচারক জামিন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠান।
বরগুনা পৌরসভার পশ্চিম বরগুনার বাসিন্দা ভুক্তভোগী কিশোরীর মা বলেন, আমার মেয়ের বাবা নেই। আমি তরকারি বিক্রি করে রোজগার করে খাই। কাজের প্রয়োজনে সারাক্ষণ আমাকে বাইরে থাকতে হয়। আমার মেয়ে অধিকাংশ সময় নুর ইসলামের ছোট মেয়ের সঙ্গে তাদের বাসায় থাকত। মেয়েকে দিয়ে তারা কাজও করাত। কিন্তু তারা যে আমার মেয়ের এত বড় সর্বনাশ করবে কখনই ভাবিনি। বুঝতে পারলে আমি মেয়েকে ওখানে যেতে দিতাম না। আমার মেয়ে এখন পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। আমি এ ঘটনার বিচার চাই। ভুক্তভোগী কিশোরী বলেন, নুর ইসলামকে আমি খালু বলে ডাকতাম। তাদের বাসায় গেলে আমাকে দিয়ে তারা কাজ করাতেন। প্রায় দিনই নুর ইসলাম আমার শরীরে হাত দিতেন। বিয়ের করার কথা বলতেন। আমি চুপ করে শুনতাম। তার ছেলে আরিফও একই কাজ করতেন। পরে এক দিন আরিফ জোরপূর্বক আমার মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করে। ভয় দেখিয়ে আরও দুই দিন ধর্ষণ করেছে। ভয়ে আমি কাউকে কিছু বলিনি। এখন সবাই বলছে আমার নাকি বাচ্চা হবে। ভুক্তভোগী কিশোরীর পরিবার বিষয়টি নিয়ে বরগুনা জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ করলে তিনি বরগুনা সদর থানা পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলেন। পরে বরগুনা সদর থানার ওসি বিষয়টি আমলে নিয়ে রোববার রাত সাড়ে ১২টায় নুর ইসলাম ও তার ছেলে আরিফকে থানায় আনেন। থানায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat