×
  • প্রকাশিত : ২০২২-০১-০৮
  • ১৯৪ বার পঠিত
এস এম মাসুদ রানা (ত্রিশাল) ময়মনসিংহ : ময়মনসিংহের  ত্রিশালের মোক্ষপুর ইউনিয়নের সাপখালী এলাকায় দুই শতাব্দীর পুরাতন বটগাছটি দিব্যি দাড়িয়ে প্রমান করে আসছে প্রবীনতার কালের স্বাক্ষী হিসেবে। বটগাছটি দেখার জন্য দূর-দূরান্ত থেকে আসে লোকজন। এই পুরানো বটগাছটি ঝড় তুফানে ক্ষতি করতে পারেনি। তবে একবার ঝড় তুফান ব্যাপক ডালপালা ভেঙ্গে যায়। ওই সময় ডালপালা ভেঙ্গে যাওয়ার অনেক লাকড়ি হয়েছিল। তবে এই পুরাতন গাছটি ঝড় তুফানে কবে ভেঙে ছিল তা সঠিকভাবে কেউ বলতে পারেনি। স্থানীয়রা জানান গত ৬০ বছর যাবত এই পুরাতন গাছটি দেখেই আসছি। এখনও সেরকমই দাঁড়িয়ে রয়েছে। অন্য এক ব্যক্তি বলেন দাদার আমল থেকে শুনে আসছি এই বটগাছটি অনেক পুরানো । এর বয়স কমপক্ষে ২০০ শত বছর হবে। সরেজমিনে দেখা গেছে প্রথমে একটি বটগাছ এখানে ছিল। উক্ত বটগাছের শোখর ও ডালপালা মাটিতে পড়ে আবার পুনরায় গাছ হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। এখন ডালপালা ও শোখর থেকে বিশাল বিশাল বট গাছ জন্মে একসাথে জড়িয়ে রয়েছে। আবার কিছু দুর দুর ডালপালা থেকে অসংখ্য বটগাছ হয়েছে। মূল বট গাছ থেকে শাখা প্রশাখার বটগাছ গুলো দিব্যি দাঁড়িয়ে রয়েছে। কমপক্ষে হলেও২০ থেকে ২৫ টি এমন গাছ রয়েছে। এই পুরাতন বটগাছটির ডালপালা বিশাল আকৃতির। ডাল পালাগুলো চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। ওই বট গাছের পাশে লালশাহ নামের একটি মজার রয়েছে । এই মাজারে প্রতিবছরওরস মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। মাজারে এসে লোকজন এই বটগাছটি নিচে দোয়া , প্রার্থনা ও মানত করেন। অবশ্য কেউ কেউ বলেছেন প্রথমে এই বটগাছটি মাজারে ছিল। মাজার থেকে এনে কেউ ডালপালা ফেলে দিলে পরে এই স্থানে বটগাছটি জন্মায়। তবে কেউ এর সঠিক তথ্য দিতে পারেনি। অন্য এক ব্যক্তি জানান, প্রথমে এই বট গাছের পাতা ছিঁড়লেই নাকি শরীরের জ্বর হতো । তিনি আরো বলেন এই বটগাছটি নিয়ে অনেক অলৌকিক ঘটনা রয়েছে। যা পূর্বপুরুষদের মুখে মুখে শুনে আসছেন। যুগে ?যুগে কি রহস্যময় জিনিস দেখে আসছে মানুষ। তবে পুরনো জিনিস যা ঐতিহ্য বহন করে। আর ঐতিহ্যের অংশই হচ্ছে এই বটগাছ। বটগাছকে ঘিরে লোক মুখে নানান কথার প্রচলন আছে। কেউ কেউ মনে করে এই বটগাছ ঐতিহ্যই বহন করে । এই বটগাছকে ঘিরে ত্রিশালবাসী যেন তাদের হারানো ঐতিহ্য খুঁজে পায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat