×
  • প্রকাশিত : ২০২২-০১-০৪
  • ১৭২ বার পঠিত

একদিনে ৬০০ ছাড়ালো  ■︎  ঢাকা জেলায় সবচেয়ে বেশি


সালেহ আহাম্মেদ জুবায়ের : করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনেই দেশে সংক্রমণ বাড়ছে বলে জানা যায়। ক্লাস্টার সংক্রমণে ঢাকা জেলায় হার বেশি। করোনায় আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও চারজন মারা গেছেন। এ নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত ২৮ হাজার ৮১ জনের মৃত্যু হয়েছে এই ভাইরাসটিতে। করোনায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৬৭৪ জন। এর মধ্যে ঢাকা মহানগরসহ ঢাকা জেলারই ৫৬৮ জন। অর্থাৎ মোট শনাক্ত রোগীর ৮৪.২৭ শতাংশই ঢাকা জেলার। আর গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া চার জনের মধ্যে ঢাকা জেলার দুই জন। গতকাল সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের ক্লাস্টার ট্রান্সমিশন (গুচ্ছ সংক্রমণ) হয়েছে। ঢাকায় রোগী বাড়া ওমিক্রনেরই প্রভাব। রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণ প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও বর্তমান উপদেষ্টা ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, ‘এটা ওমিক্রনের প্রভাব। বাংলাদেশে এর শুরু, এতে সন্দেহ নেই। ওমিক্রনের ক্লাস্টার ট্রান্সমিশন হচ্ছে ঢাকায়।’ অধিদফতর জানাচ্ছে, ঢাকা জেলায় ৫৬৮ জন শনাক্ত হওয়ার পাশাপাশি এ বিভাগের গাজীপুরে তিন জন; ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জে দুই জন করে এবং মানিকগঞ্জ, নরসিংদী ও টাঙ্গাইলে শনাক্তে হয়েছেন একজন করে। ময়মনসিংহ বিভাগের ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা ও জামালপুরে শনাক্ত হয়েছেন একজন করে। চট্টগ্রাম বিভাগের চট্টগ্রাম জেলায় শনাক্ত হয়েছেন ২৩ জন। বাকি জেলাগুলোর মধ্যে চাঁদপুরে চার জন, নোয়াখালীতে তিন জন এবং কক্সবাজার ও কুমিল্লায় শনাক্ত হয়েছেন একজন করে। রাজশাহী বিভাগের রাজশাহী ও পাবনা জেলায় শনাক্ত হয়েছেন ছয় জন করে। নওগাঁ, সিরাজগঞ্জ ও জয়পুরহাটে দুই জন করে এবং বগুড়ায় শনাক্ত হয়েছেন পাঁচ জন। রংপুর বিভাগের ঠাকুরগাঁয়ে পাঁচ জন এবং লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধায় একজন করে শনাক্ত হয়েছেন। খুলনা বিভাগের চুয়াডাঙ্গায় ছয় জন, কুষ্টিয়ায় পাঁচ জন, যশোরে চার জন আর ঝিনাইদহে শনাক্ত হয়েছেন একজন। বরিশাল বিভাগের বরিশাল, পটুয়াখালী আর বরগুনায় শনাক্ত হয়েছেন একজন করে। সিলেট বিভাগের সিলেট জেলায় শনাক্ত হয়েছেন সাত জন। গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়েছেন ২১৪ জন।  এ নিয়ে মোট সুস্থ হলেন ১৫ লাখ ৪৯ হাজার ৭৭১ জন। গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। চলতি বছরের ৫ ও ১০ আগস্ট দুদিন সর্বোচ্চ ২৬৪ জনের মৃত্যু হয়। দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত বছরের ৮ মার্চ। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেই বছর সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছিল ৬৪ জনের। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় চলতি বছর জুন থেকে রোগীর সংখ্যা হু-হু করে বাড়তে থাকে। ২৮ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। চলতি বছরের গত ৭ জুলাই প্রথমবারের মতো দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৫ ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যু হয়, যা মহামারির মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এরপর বেশকিছু দিন ২ শতাধিক মৃত্যু হয়। এরপর গত ১৩ আগস্ট মৃত্যুর সংখ্যা ২০০ এর নিচে নামা শুরু করে। দীর্ঘদিন শতাধিক থাকার পর গত ২৮ আগস্ট মৃত্যু ১০০ এর নিচে নেমে আসে। ২০২০ সালের এপ্রিলের পর চলতি বছরের ১৯ নভেম্বর প্রথম করোনাভাইরাস মহামারিতে মৃত্যুহীন দিন পার করে বাংলাদেশ।সর্বশেষ দ্বিতীয়বারের মতো ৯ ডিসেম্বর মৃত্যুশূন্য দিন পার করেছে দেশ।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat