এখনো শীত আসেইনি। এরই মধ্যে রাজধানীজুড়ে দেখা দিয়েছে তীব্র গ্যাস সংকট। সকালের নাস্তা কিংবা রাতের খাবার রান্না- কোনো সময়ই মিলছে না পর্যাপ্ত গ্যাস। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে ঢাকাবাসী। কেউ কেউ বাধ্য হয়ে বিদ্যুৎচালিত হিটার বা এলপিজি সিলিন্ডারের ওপর নির্ভর করছেন, যা খরচও বাড়িয়ে দিচ্ছে কয়েকগুণ।
রাজধানীর আজিমপুর, হাজারীবাগ, যাত্রাবাড়ী, মিরপুর, মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, খিলগাঁও, বাড্ডা, বাসাবোসহ বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এক মাসের বেশি সময় ধরে গ্যাসের চাপ একেবারে কম। দিনে খুব কম সময়ই গ্যাস থাকে। যেটুকু সময় গ্যাস পাওয়া যায় তাতে রান্না করা কষ্টকর। মিটমিট করে জ্বলা চুলায় ভালোভাবে রান্না করাই যেন দায়। চুলায় রান্না বসিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয়।
রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় অবস্থিত ঢাকা কলেজ। কলেজটির আখতারুজ্জামান ইলিয়াস আবাসিক হলের ম্যানেজার হেলাল উদ্দিন।
দীর্ঘ এক দশকের বেশি সময় ধরে কাজ করা হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘হোস্টেলের রান্নার কাজে গ্যাসের চুলা ব্যবহার করি। এক মাস ধরে এমন অবস্থা যে চুলা জ্বলে না। বাধ্য হয়ে কাঠ দিয়ে রান্না করি। এমন অবস্থা আগে দেখিনি। শীত তো এখনও আসেনি, এখনই গ্যাস পাই না।’
মিরপুরের বাসিন্দা ইতি আক্তার বলেন, ‘গ্যাস নেই বললেই চলে। ভোরে উঠে রান্না করতে হয়, তাও কষ্ট হয়ে যায়। চুলায় কিছু রান্না বসালে অনেক দেরি হয়৷ চুলা যেন জ্বলেই না।’ সকাল ৮টার পর আর গ্যাসই থাকে না।
গ্যাসের সরবরাহ একেবারেই কম থাকায় বাধ্য হয়ে অনেকেই বৈদ্যুতিক হিটার ও সিলিন্ডারে দিকে ঝুঁকছেন। এতে বাড়তি খরচ হচ্ছে। সব মিলিয়ে পরিবারের খরচ চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন অনেকে