জ্বালানি তেল, ইউরিয়া সার, খাদ্যপণ্যসহ নিত্যপণ্যের মূল্য ও পরিবহনের ভাড়া কমানো এবং গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা বন্ধের দাবিতে আগামী ২৫ আগস্টের হরতাল সফল করতে আজ শনিবার রাজধানীতে প্রচারপত্র বিতরণ ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন বাম জোটের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। নেতৃবৃন্দ সরকার দ্রুত দাবি না মানলে হরতালের পর বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণার হুঁশিয়ারি দেন।
রাজধানীর পুরানা পল্টন মোড়, জাতীয় প্রেস ক্লাবসহ বিভিন্ন এলাকায় এই কর্মসূচিতে অংশ নেন বাম জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)’র সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের ডা. হারুন উর রশীদ, বাসদ (মার্ক্সবাদী)’র মানস নন্দী, ওয়ার্কার্স পার্টি (মার্ক্সবাদী)’র বিধান দাস, বাম জোট নেতা খালেকুজ্জামান লিপন, আব্দুল কাদের, জাহিদ হোসেন খান, তৈমুর খান অপু, নাঈমা খালেদ মনিকা, আনোয়ারুল ইসলাম, তৌফিকা লিজা প্রমুখ।
এ সময় বাম জোটের নেতৃবৃন্দ বলেন, করোনার সময় থেকে সাধারণ মানুষের আয় কমে গেছে।
এসব বিবেচনা না করে সরকার অতীতে লাভে থাকা জ্বালানি তেলের দামসহ নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি করেছে। যাতায়াত ভাড়া বাড়িয়েছে। সাধারণ মানুষের পক্ষে যা বহন করা সম্ভব না। এ অবস্থায় সাধারণ মানুষ দৈনন্দিন খাওয়া পর্যন্ত কমিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছে। সরকার জনগণের কষ্ট বুঝতে পারছে না। বরং দ্রব্যমূল্য নিয়ে মন্ত্রীরা মানুষের সাথে রসিকতা করছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, রাজপথে প্রতিবাদ ছাড়া দাবি আদায় করা যাবে না। এজন্য ২৫ আগস্টের হরতাল নিজের হরতাল বিবেচনা করে ঐদিন রাজপথে নেমে সরকারের গণবিরোধী সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপনার অবস্থান জানিয়ে দিন। জনগণের বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানান তারা।
এ সময় পথচারীদের অনেকেই স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রচারপত্র নেন ও নিজেরা বিতরণ করেন। হরতাল সফল করতে বাম জোটের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ খুলনা, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও রংপুর সফর শুরু করেছেন।
এ জাতীয় আরো খবর..