গত মৌসুমটা আর্সেনালের শুরু হয়েছিল ব্রেন্টফোর্ডের কাছে ২-০ গোলের হার দিয়ে। পরের দুটি ম্যাচও হেরে ৬৭ বছরের মধ্যে লিগে সবচেয়ে বাজে শুরু করেছিল গানাররা। এবার আর সেটা হতে দিতে চায়নি এমিরেটসের ক্লাবটি। গ্রীষ্মকালীন দলবদলে গ্যাব্রিয়েল জেসুস, ওলেক্সান্দার জিনচেঙ্কোসহ বেশ কয়েকটি ভালো চুক্তিতে ভালো দল গড়ে প্রস্তুতিটা আগেই নিয়ে রেখেছিল আর্সেনাল।
ভালো দল গড়াটা বিফলে যায়নি। সাফল্যের জন্য ‘ক্ষুধার্ত’ আর্সেনাল কাল জয় দিয়েই লিগ শুরু করেছে। ক্রিস্টাল প্যালেসের মাঠ থেকে ২-০ গোলের জয় নিয়ে ফিরেছে গানাররা। এতে গত মৌসুমের একটি প্রতিশোধও নেওয়া হলো মিকেল আরতেতার দলের। গত মৌসুমে প্যালেসের মাঠ থেকে যে ৩-০ গোলে হেরে এসেছিল আর্সেনাল।
প্রাক্-মৌসুম প্রস্তুতিতে দুর্দান্ত খেলা আর্সেনাল ম্যাচের শুরু থেকেই প্যালেসকে চেপে ধরে। গোল পেয়ে যাওয়াটা ছিল সময়ের ব্যাপার। সেটা তারা পেয়ে যায় ২০ মিনিটে। ম্যানচেস্টার সিটি থেকে এ মৌসুমেই এমিরেটসকে ঠিকানা বানানো জিনচেঙ্কোর কর্নার থেকে দুর্দান্ত হেডে গোলটি করেন গ্যাব্রিয়েল মার্তিনেল্লি। ৮৫ মিনিটে আর্সেনালের দ্বিতীয় গোলটি প্যালেসের গুয়েচির আত্মঘাতী।
আর্সেনাল প্রথম গোলটি পেয়ে যেতে পারত ২০ মিনিটের আগেই। ম্যান সিটি থেকে এ মৌসুমেই আর্সেনালে নাম লেখানো গ্যাব্রিয়েল জেসুস শুরু থেকেই প্যালেসের রক্ষণে আতঙ্ক ছড়াতে থাকেন। তাঁর তৈরি করা একটি সহজ সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি মার্তেনেল্লি।
জয় দিয়ে মৌসুম শুরু করতে পেরে খুব খুশি আর্সেনালের কোচ আরতেতা। ম্যাচ শেষে বলেছেন, ‘এই সন্ধ্যার সবচেয়ে সুন্দর বিষয় ছিল জয়। মৌসুমের প্রথম ম্যাচ জেতা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এটা দলের গতিপথ তৈরি করে দেয়। এখন আমরা যেসব বিষয়ে উন্নতি করার আছে, সেসব নিয়ে কথা বলতে পারব।’
আর্সেনালের হয়ে প্রিমিয়ার লিগ অভিষেকে গোল করতে পারেননি জেসুস, গোলে সহায়তাও নেই তাঁর। কিন্তু প্যালেসের রক্ষণ এলোমেলো করে দেওয়ার কাজটা মূলত করেছেন এই ব্রাজিলিয়ানই। ম্যাচ শেষে তাই জেসুসকে নিয়ে আরতেতার মধ্যে দেখা গেল বাড়তি উচ্ছ্বাস, ‘তার মধ্যে এমন একটা ব্যাপার আছে যে প্রতিপক্ষ ভয়ে থাকবে। সে সব সময়ই ঘাড়ের ওপর নিশ্বাস ফেলে। সে কখনো চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকে না। সারাক্ষণ মুভের ওপর থাকে। একজন ডিফেন্ডারের জন্য তাঁর বিপক্ষে খেলাটা কঠিন।’
এ জাতীয় আরো খবর..