সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খেলোয়াড়টির পরিচয় নিয়ে গুঞ্জন চলছে। কিন্তু পুলিশ কিংবা সংবাদমাধ্যম পরিচয় প্রকাশ না করায় অনুমান এবং দুইয়ে দুইয়ে চার মেলানোর চেষ্টা করছেন ফুটবলপ্রেমীরা।
কে এই প্রিমিয়ার লিগ তারকা, যিনি ধর্ষণের অভিযোগে সোমবার গ্রেপ্তার হওয়ার পর তাঁর বিরুদ্ধে আরও দুটি ধর্ষণের অভিযোগ উঠল!
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ জানিয়েছিল, এক খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গ্রেপ্তার এই খেলোয়াড় ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের তারকা এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচিত মুখ। আইনগত কারণে তাঁর নাম প্রকাশ করা হয়নি। উত্তর লন্ডনে গ্রেপ্তার হওয়ার পর এখন পুলিশি হেফাজতে আছেন। গত মাসে ধর্ষণের অভিযোগে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।
সংবাদমাধ্যমটি পরে আরেকটি প্রতিবেদনে জানিয়েছে, আটক থাকার সময় গত বছর অন্য এক নারীকে ধর্ষণের দুটি অভিযোগে সেই খেলোয়াড়কে আবারও গ্রেপ্তার করা হয়। প্রায় ৩০ ঘণ্টা তিনটি ধর্ষণের অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের পর আগস্ট পর্যন্ত তাঁর জামিন মঞ্জুর করা হয়।
গত বছর এপ্রিল ও জুনে এ দুটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটানোর অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। প্রথম অভিযোগকারীর মতো সেই নারীর বয়সও ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। আর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে জানা গেছে, অভিযুক্ত সেই খেলোয়াড়ের বয়স ২৯ বছর এবং তিনি জার্মান নাগরিক।
ব্রিটিশ পুলিশ সংস্থা স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের হালনাগাদ বিবৃতিতে বলা হয়, ‘৪ জুলাই এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ আসে পুলিশের কাছে। অভিযোগে বলা হয়, ২০২২ সালের জুনে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে। ৪ জুলাই বার্নেট অঞ্চল থেকে ধর্ষণের অভিযোগে ২৯ বছর বয়সী একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আটক থাকার সময় আরও দুটি ধর্ষণের অভিযোগে তাঁকে আবারও গ্রেপ্তার দেখানো হয়। গত বছর এপ্রিল ও জুনে অন্য এক নারীর সঙ্গে এই কাজ করার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। আগস্ট পর্যন্ত তাঁর জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে।’
পুলিশ ও সংবাদমাধ্যম আইনি কারণে সেই খেলোয়াড়ের নাম প্রকাশ করেনি। তবে পুলিশ কীভাবে দ্বিতীয় অভিযোগকারীর হদিস পেল, সে খবর প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম সান। ইনস্টাগ্রামে দুই অভিযোগকারীর মধ্যে যোগাযোগ হয়। গত মাসে ধর্ষণের শিকার হওয়া নারীটি পুলিশকে জানান, অভিযুক্ত খেলোয়াড় গত বছরও অন্য এক নারীকে ধর্ষণ করেছেন এবং সেই নারী তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন।
এ নিয়ে এক সূত্রের উদ্ধৃতি প্রকাশ করে সংবাদমাধ্যমটি, ‘ইনস্টাগ্রামে নারীটি (প্রথম অভিযোগকারী) ব্যক্তিগত বার্তা পান, যিনি যোগাযোগ করেছেন। তিনি দাবি করেন, গত বছর এই একই ফুটবলার তাঁকে ধর্ষণ করেছিলেন। নারীটি পুলিশের কাছে নিজের বিষয়ে অভিযোগের সময় সেই নারীর পাঠানো বার্তাগুলোও দেখিয়েছেন। পুলিশ অভিযোগগুলো গুরুত্বসহকারে নিয়ে খেলোয়াড়টিকে আবারও গ্রেপ্তার করে। এখন বহুমাত্রিক তদন্ত হবে।’
এ জাতীয় আরো খবর..