×
সদ্য প্রাপ্ত:
মেট্রোরেলের নতুন সূচিতে ট্রিপ বাড়ল ৭টি জামায়াতের পিআর আন্দোলন রাজনৈতিক প্রতারণা ছাড়া কিছুই নয়: নাহিদ দেশব্যাপী বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক জামায়াতসহ ৮ দলের, কাল সমাবেশ দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদার ফের দ্বিধা বাড়ালেন ট্রাম্প, যুক্তরাষ্ট্র না রাশিয়া কাকে বেছে নেবে ভারত? ইসির রিমোট আগারগাঁওয়ে নেই: হাসনাত জুলাই যোদ্ধাদের নিয়ে বক্তব্য এনসিপি আংশিক কাট করেছে: সালাহউদ্দিন প্রজ্ঞাপন প্রত্যাখ্যান শিক্ষকদের, আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের পাওনা পরিশোধের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ ব্যাংক খাতের মাফিয়া পুবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মাদ আলী
  • প্রকাশিত : ২০২২-০৮-০৩
  • ২৫ বার পঠিত
রাজধানীর কারওয়ান বাজার থেকে (২১ জুলাই) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী পারিশা আক্তারের মোবাইলটি চার হাজার টাকায় বিক্রি করে ছিনতাইকারীরা। এই টাকা তারা এক হাজার করে ভাগ করে নেন। বাকি দুই হাজার টাকা দিয়ে তারা মদ পান করে বলে জানিয়েছেন তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) রুবাইয়াত জামান। আজ বুধবার তেজগাঁও থানা কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।

ফোন ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা হলেন- রাশেদুল ইসলাম (১৭) ও রিপন ওরফে আকাশ (২৪)।

এর আগে ২১ জুলাই পারিশা আকতারের  মোবাইলটি বাস থেকে ছিনিয়ে নেয় রিপন ওরফে আকাশ। তাকে ধাওয়া করলে সে (ছিনতাইকারী) মোবাইলটি আরেকজনের কাছে হাতবদল করে পালিয়ে যায়। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে ওই ছিনতাইকারী ও মোবাইল ফোনটি উদ্ধারে তৎপর হয় পুলিশ। তদন্তে ঘটনাস্থল ও আশপাশের এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে সহযোগীকে শনাক্ত করে পুলিশ।

তার তথ্য মতে, কারওয়ান বাজারের একটি দোকান থেকে বিক্রি করে দেওয়া মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা হয়। সেই সঙ্গে ছিনতাইকৃত মোবাইল ফোন কেনার অপরাধে মো. শফিক নামে ওই দোকান মালিককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার রুবাইয়াত জামান বলেন, ছিনতাইকৃত মোবাইলটি ব্যবহার করা হয়নি। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, আকাশ মোবাইলটি ছিনিয়ে দৌড় দেয়; কিন্তু তার পিছু পিছু অন্য এক যুবক দ্রুত হাঁটতে শুরু করে। পরে ওই যুবককের সন্দেহজনক গতিবিধির জের ধরে পুলিশ তদন্ত শুরু করে এবং তাকে ২৪ জুলাই কারওয়ান বাজার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার নাম রাশেদুল ইসলাম।

রাশেদ একপর্যায়ে স্বীকার করে যে তারা দুজন মিলে এই ছিনতাইয়ের কাজটি করেছে। এদিকে রাশেদের তথ্য অনুযায়ী ছিনতাইকারী রিপনকে গ্রেপ্তার অভিযান চলছিল। পরে খবর পাওয়া যায়, রিপন অন্য একটি মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন। পরে আদালতে আবেদন করে তাকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ছিনতাইয়ের বিষয়টি অস্বীকার করে রিপন। রিপন ও রাশেদুলকে মুখোমুখি করা হলে পুরো ঘটনাই স্বীকার করে রিপন ওরফে আকাশ।

এডিসি রুবাইয়াত জানান, ঘটনার মাত্র ১০ দিনের মধ্যেই তদন্ত শেষ করে তিনজনকে অভিযুক্ত করে আজ বুধবার আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়।

ছিনতাইকৃত মোবাইল ফোন উদ্ধার ও ছিনতাইকারী  বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী পারিশা আক্তার বলেন, আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে এতে আমি অনেক খুশি। এখন আমার চাওয়া, গ্রেপ্তার ছিনতাইকারী যাতে আবার ছাড়া না পায়। তার যাতে কঠিন শাস্তি হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat