ফ্রি দলবদলে আন্দ্রেয়া ক্রিস্টেনসেন আর ফ্র্যাঙ্ক কেসিকে দিয়ে শুরু। তত দিন পর্যন্ত ঠিকই ছিল। ফ্রি দলবদলে যেহেতু টাকা লাগে না, সবাই ভেবেছিল আর্থিকভাবে দৈন্যদশায় থাকা বার্সেলোনা এভাবেই ফ্রি বা কমদামী খেলোয়াড় দলে টেনে শক্তি বাড়াবে।
কিন্তু এরপরই কাতালানদের ‘ভেল্কি’ দেখানো শুরু। টিভিস্বত্ব বিক্রির টাকা ও একের পর এক ‘ইকোনমিক লেভার’ চালু করার পরিপ্রেক্ষিতে দলবদলের বাজারে টাকা ঢেলে একে একে রাফিনিয়া, রবার্ট লেভানডফস্কি ও জুলস কুন্দেকে দলে টেনেছে দলটা।
প্রত্যেকের পেছনে বেশ ভালোই খরচ হয়েছে। রাফিনিয়ার জন্য বার্সার খরচ ৬ কোটি ৮০ লাখ ইউরো। আর লেভানডফস্কির জন্য খরচ হয়েছে ৫ কোটি ইউরো। কুন্দের দামও একই।
এত খরচ করার পর এবার বার্সেলোনার চোখ পড়েছে ম্যানচেস্টার সিটির পর্তুগিজ মিডফিল্ডার বের্নার্দো সিলভার দিকে। মুন্দো দেপোর্তিভো ও আরএসিওয়ান স্পোর্তের নির্ভরযোগ্য সাংবাদিক ফেরান মার্তিনেজ দিয়েছেন এই খবর। আক্রমণ আর রক্ষণভাগ শক্তিশালী করার পাশাপাশি মাঝমাঠেও একজন নতুন খেলোয়াড় আনার চেষ্টা জাভির বহুদিনের।
সে লক্ষ্যেই বের্নার্দোর দিকে চোখ পড়েছে তাঁর। বার্সার এই কোচ মনে করেন, বুসকেতসের সঙ্গে পেদ্রি-বের্নার্দোর জুটি বেশ জমবে। জাভি যে আরও খেলোয়াড় চান, সেটা দলের সভাপতি হোয়ান লাপোর্তার কথাতেই স্পষ্ট, ‘জাভি দলের শক্তি বাড়াতে আরও খেলোয়াড় চায়।’
তবে যাঁদের কেনা হয়েছে, তাঁদের নিবন্ধন করার আগপর্যন্ত অন্য কাউকে আনতে চাইছেন না লাপোর্তা, ‘এখন আমরা খেলোয়াড় নিবন্ধনের দিকে মনোযোগ দিচ্ছি, যাদের নতুন কেনা হয়েছে। যারা ক্লাবের পরিকল্পনায় নেই, তাঁদের বিক্রিরও চেষ্টা চলছে। দেখা যাক আমরা কী করতে পারি।’
ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার রাফিনিয়া ও পোলিশ স্ট্রাইকার লেভানডফস্কিকে কেনার ফল এরই মধ্যে পেতে শুরু করেছে বার্সা। প্রাক্-মৌসুম প্রস্তুতি ম্যাচগুলোয় উন্নতির স্পষ্ট ছাপ দেখা যাচ্ছে।
বের্নার্দো সিলভা এলে সে উন্নতি আরও বাড়বে, সে আশা বার্সার সমর্থকেরা করতেই পারেন!
এ জাতীয় আরো খবর..