পরিবেশদূষণ প্রতিরোধে বর্জ্য নীতিমালায় ১৫ দফা সুপারিশ অন্তর্ভুক্তির দাবি জানিয়েছেন দুস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র (ডিএসকে) ও তার কনসোর্টিয়াম সদস্য সংস্থা বারসিক, কোয়ালিশন ফর দি আরবান পুওর (কাপ) ও ইনসাইটস সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন অডিটরিয়ামে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তারা বর্জ্য নীতিমালা-২০২১ বাস্তবায়নে সঠিক গাইডলাইন প্রণয়ন, নোটিশ জারি ও বর্জ্যের সঠিক ব্যবস্থাপনায় কঠোর নজরদারির দাবিও জানান।
আজ সোমবার (১ আগস্ট) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। ওই সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা কলিং প্রকল্প ও ডিএসকের কনসোর্টিয়াম সমন্বয়কারী সানজিদা জাহান আশরাফি।
অনুষ্ঠানে কাপের চেয়ারপারসন এবং ডিএসকে নির্বাহী পরিচালক ড. দিবালোক সিংহের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উত্তর সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা। এ ছাড়া বক্তব্য দেন ডিএনসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমোডর এস এম শরিফ-উল ইসলাম, প্রধান সমাজকল্যাণ ও বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুন-উল-হাসান, সাবেক অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ও গবেষক ড. তারিক বিন ইউসুফ, উত্তর সিটির ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলার মো. তাইজুল ইসলাম চৌধুরী, ১৯ ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মফিজুর রহমান, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর শিখা চক্রবর্তী, আমেনা বেগম, কাপের নির্বাহী পরিচালক খোন্দকার রেবেকা সান ইয়াত, প্রজেক্ট ম্যানেজার মাহবুল হক প্রমুখ। পরে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
মূল প্রবন্ধে জানানো হয়, দূষণমুক্ত ঢাকা সিটি এ স্বপ্ন বাস্তবায়নে ডিএসকে ও তার কনসোর্টিয়াম সদস্য সংস্থা বারসিক, কাপ ও ইনসাইটস সঙ্গে নিয়ে ইউএসএআইডি সমর্থিত প্রোমোটিং অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড রাইটস (পার) কর্মসূচির আওতায় কাউন্টারপার্ট ইন্টারন্যাশনালের কারিগরি সহযোগিতায় ঢাকা সিটিজেনস অ্যাডভোকেসি কোলাবোরেশন অ্যাগেইনস্ট পোলিউটিং এনভায়রনমেন্ট (ঢাকা কলিং) প্রকল্পটি গণতান্ত্রিক সুশাসন ও নাগরিক অংশীদারত্ব বৃদ্ধির লক্ষ্যে ঢাকা উত্তর সিটির মিরপুর মোল্লার বস্তি ও কড়াইল বস্তি এবং দক্ষিণ সিটির হাজারীবাগ বউবাজার ও বালুর মাঠ বস্তি মডেল হিসেবে প্রকল্পের কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।
সভায় বক্তারা বলেন, বর্জ্যকে সম্পদ হিসেবে দেখলেই সব সমস্যার সমাধান হবে। পচনশীল ও কঠিন বর্জ্য শুরু থেকে আলাদা করতে হবে। কারণ শুরু থেকে আলাদা করতে পারলে সময়ের পাশাপাশি রিসাইকিলিং খরচও কম হবে। পচনশীল বর্জ্য থেকে সার ও বিদুৎ উংপাদন করা যাবে। তাই আমাদের সঠিক কর্মপরিকল্পনা নেওয়া দরকার।
এ জাতীয় আরো খবর..