স্বাদীনবাংলা, আর্ন্তজাতিক খবর:
ফিজির রাজধানী সুভার গ্রান্ড প্যাসিফিক হোটেলে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়। প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ দেশ ফিজিতে চীনা কূটনীতিকদের সঙ্গে তাইওয়ানি কূটনীতিকদের হাতাহাতি ও মারামারি হয়েছে। এতে একজন তাইওয়ানি কূটনীতিক আহত হয়েছেন। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার তাইওয়ানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানায়। এই মন্ত্রণালয় বলেছে, চলতি মাসে ফিজিতে তাদের একটি অনুষ্ঠানে কারা উপস্থিতি হচ্ছেন সে বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের চেষ্টারত দুই চীনা কূটনীতিক তাণ্ডব চালান। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, গত ৮ অক্টোবর সন্ধ্যায় তাইওয়ানের জাতীয় দিবস উপলক্ষে একটি সংবর্ধনার আয়োজন করেছিল ফিজিতে নিযুক্ত তাইওয়ানের প্রতিনিধির দফতর। সেখানে ওই মারামারি হয়। সেখানে কারা যোগ দিচ্ছেন সে বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ ও ছবি তোলার জন্য চীনের দুই কূটনীতিক জোর করে অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশের চেষ্টা করেন। তখন তাইওয়ানি কূটনীতিকরা তাদের বাধা দেন। এতে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি, মারামারি শুরু হয়ে যায়। পরে মাথায় আঘাত পান তাইওয়ানি কূটনীতিক। তাইওয়ানের এই বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছে চীন। ফিজির চীন দূতাবাস পুলিশকে এ ঘটনার তদন্ত করতে বলেছে। চীন দূতাবাসের বক্তব্য, ‘ওই সন্ধ্যায় ফিজিতে থাকা তাইপের বাণিজ্য দফতর চীনের দূতাবাস কর্মীদের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক আচরণ করে। চীনের কর্মীরা তাদের সরকারি দায়িত্ব পালনে সেখানে গিয়ে অনুষ্ঠানস্থলের বাইরে সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত এলাকায় অবস্থান নিয়েছিল, কিন্তু তারপরও তাদের একজনকে আহত ও তার ক্ষতিসাধন করা হয়।’
তাইওয়ানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিষয়ক বিভাগের প্রধান ল্যারি সেং বলেছেন, চীনা ও তাইওয়ানি কূটনীতিকদের মধ্যে ওই মারামারির ঘটনায় উভয়পক্ষের লোকজনই আহত হন। তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করে চীন। তাদের ওপর চীনের সার্বভৌমত্ব স্বীকার করে নেওয়ার জন্য সম্প্রতি তাইপের ওপর চাপ বাড়ায় বেইজিং। চাপ বাড়ানোর অংশ হিসেবে তাইওয়ান দ্বীপের কাছাকাছি যুদ্ধ বিমানও পাঠায় দেশটি।
সূত্র: রয়টার্স, বাংলাদেশ প্রতিদিন থেকে নেওয়া।