×
  • প্রকাশিত : ২০২২-০৭-১৭
  • ৭৯ বার পঠিত
বিদেশে কাজ করা বাংলাদেশিদের একটা বিরাট অংশই অদক্ষ। সে কারণে প্রতিযোগী দেশের চাইতে দেশের কর্মীরা কম বেতন পান। অনেকেই দীর্ঘ কাজ করে দক্ষ হয়েছেন কিন্তু প্রাতিষ্ঠানিক কোনো সনদ না থাকার কারণে তাদের সঠিক মূল্যায়ন হয় না। জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এনএসডিএ) তাদের দক্ষতাকে বা পূর্ব অভিজ্ঞতাকে স্বীকৃতি দিয়ে সনদায়িত করার উদ্যোগ নিয়েছে।
 
আজ রবিবার বিশ্ব যুব দক্ষতা দিবস-২০২২ উদযাপন উপলক্ষে রাজধানী ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আলোচনাসভায় বক্তরা এসব তথ্য জানান। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আওতাধীন জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এনএসডিএ) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এবং অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্প দক্ষতা পরিষদের সমন্বয়ক শফিকুর রহমান ভুইঁয়া। অনুষ্ঠনে স্বাগত বক্তব্য দেন এনএসডিএর নির্বাহী চেয়ারম্যান (সচিব) দুলাল কৃষ্ণ সাহা।
 
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, 'আমাদের দেশে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী অনার্স-মাস্টার্স করে। পৃথিবীর অন্য কোথাও এত বেশি শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষায় অংশ নেয় না। উন্নত দেশগুলো অধিকাংশ শিক্ষার্থীই কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় অংশগ্রহণ করে। ২০০৯ সাল পর্যন্ত আমাদের কারিগরি শিক্ষায় অংশগ্রহণ ছিল ১ ভাগেরও কম। ২০২০ সাল নাগাদ প্রধানমন্ত্রী এটা ২০ ভাগ করতে চেয়েছিলেন। সে সময় অনেকেই এটাকে উচ্চাভিলাষী বলেছিলেন। কিন্তু আমরা ২০ ভাগ নিতে না পারলেও ১৭ ভাগে নিয়ে এসেছি। '

মন্ত্রী বলেন, 'কারিগরি শিক্ষায় দক্ষ হয়ে আপনি চাকরি নিলেন, পরে আপনার ইচ্ছা হতে পারে ভিন্ন একটা শিক্ষায় শিক্ষা নিতে। কিন্তু আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় সেই সুযোগ খুব সীমিত। এরপরে অন্য কিছুতে পড়তে দেওয়া হয় না। আমরা সেসব বাধাকে অপসারণ করতে চেয়েছি। আমাদের শিক্ষার্থীরা যখন যেখানে পড়তে চাইবে তারা যেন যেতে পারে। অবশ্যই সেখানে ঢোকার জন্য যে যোগ্যতা লাগে ,সেই যোগ্যতা তারা পরীক্ষা দিয়ে অর্জন করেই সেখানে ঢুকবে। কিন্তু কোথাও যেন বয়সের বাধা, আগে কী পড়েছি এসবের জন্য যাতে কোনো বাধা না থাকে। এই মানসিক পরিবর্তন আমাদের দরকার। '

শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, 'এখন আমরা উন্নয়নশীল দেশ হচ্ছি। এতে পণ্য রপ্তানিতে আমরা স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে যেসব সুবিধা পাচ্ছিলাম তার অনেকগুলোই ২০২৬ সালের পরে আর পাব না। তবে অনেক নতুন সম্ভাবনার দ্বারও আমাদের জন্য খুলে যাবে। অনেক সুযোগ আসবে, সেগুলো কাজে লাগানোর জন্য আমাদের প্রয়োজন হবে শিল্প ও সেবা খাতে অনেক দক্ষ জনবল। এই দক্ষ জনবল যদি আমরা দেশে তৈরি না করতে পারি তাহলে বিনিয়োগ ব্যাহত হবে। এতে দেশের জনগণের কর্মসংস্থানও হ্রাস পাবে। '

স্বাগত বক্তব্যে এনএসডিএর নির্বাহী চেয়ারম্যান (সচিব) দুলাল কৃষ্ণ সাহা বলেন, 'আমরা এ এনএসডিএ ফ্রিল্যান্সারদের সনদায়ন করার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। আমরা ১৩টি পেশায় সনদ দেব। কিন্তু লক্ষণীয় বিষয় হলো, তিনটি অকুপেশনের জন্য বেশি সনদের জন্য দরখাস্ত হচ্ছে। সেগুলো হলো ওয়েব ডিজাইন অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট, ডিজিটাল মার্কেটিং ও গ্রাফিক ডিজাইন। কিন্তু অন্যান্য পেশায় আমরা ছেলে-মেয়ে পাচ্ছি না। এ জন্য আমাদের কার্যক্রম ব্যাপকভাবে বাড়াতে হবে। সোশ্যাল স্টিগমা রয়েছে এসব কাজের ক্ষেত্রে, এ জন্য আমরা দুটো টেলিভিশন বিজ্ঞাপন ইতিমধ্যে নির্মাণ করেছি। দু-এক দিনের মধ্যে আরো একটি প্রচার শুরু হবে। '

সভাপতির বক্তব্যে প্রধানন্ত্রী কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, 'চাকরিদাতারা যে ধরনের লোক চায় তারা সে ধরনের লোক পাচ্ছে না। ২৭টি মন্ত্রণালয় বিভিন্ন প্রকার প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরও এ রকম হচ্ছে। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী মনে করছেন সমন্বয় দরকার। এ জন্য তিনি এনএসডিএ তৈরি করেছেন। '

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat