বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির নেতৃবৃন্দ বলেছেন, আন্তর্জাতিক বাজারের দোহাই দিয়ে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে নিজেদের ব্যর্থতা আড়ালের চেষ্টা করছে সরকার। সরকার নিজেদের সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের হাতে সঁপে দিয়েছে। এ সময় দেশ চালাতে না পারলে ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
বুধবার সচিবালয় অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সমাবেশে নেতৃবৃন্দ এ আহ্বান জানান।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক।
বক্তৃতা করেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্যসচিব রফিকুল ইসলাম বাবলু, জেএসডির কার্যকরী সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, গণ-অধিকার পরিষদের সদস্যসচিব নুরুল হক নুর, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান ঈমন এবং বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান, আবু হাসান টিপু, মাহমুদ হোসেন, মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক, অরবিন্দু বেপারি বিন্দু, কামরুজ্জামান ফিরোজ ও আবুল কালাম।
সভাপতির বক্তব্যে সমাবেশে সাইফুল হক বলেন, দেশ চালানোর রাজনৈতিক ও নৈতিক কর্তৃত্ব না থাকায় সরকার সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। তাই মজুদদার ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। বরং উন্নয়নের কথা বলে চুরি, দুর্নীতি ও লুটপাটকে ঢেকে রাখা হচ্ছে। চাল, ডাল, আটা, তেলসহ অতি আবশ্যক খাদ্যপণ্যের মূল্য ইচ্ছেমতো বৃদ্ধি করা হচ্ছে। সরকারের সাথে এদের অশুভ আঁতাতের কারণে বাজারে নৈরাজ্য চলছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সাইফুল হক বলেন, আমলাতান্ত্রিক চক্রান্তে ঘর পোড়ার মধ্যে আলু পোড়া দেওয়ার মতো আরো একবার বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধির গণবিরোধী তৎপরতা চলছে। এসব অপতৎপরতা কোটি কোটি মানুষকে কষ্টের মধ্যে নিক্ষেপ করবে।
তিনি বলেন, এই সরকারের কাছে মানুষের কোনো সম্মান নেই। গুণী মানুষদের প্রতিদিন অপমান করে চলেছে। ছাত্রলীগ চর দখলের মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সন্ত্রাসী দখলদারি কায়েম করেছে। এই সরকাকে ক্ষমতায় রেখে মানুষ বাঁচতে পারবে না। তাই ঐক্যবদ্ধ গণ-আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
সমাবেশ শেষে প্রবল বৃষ্টির মধ্যে সচিবালয় অভিমুখী বিক্ষোভ মিছিলটি তোপখানা রোড হয়ে পুরানা পল্টনে এসে শেষ হয়।
এ জাতীয় আরো খবর..