×
  • প্রকাশিত : ২০২২-০৭-১৪
  • ৬৭ বার পঠিত
ঈদের ছুটির পর এখনো শিল্প-কারখানাগুলো পুরোপুরিভাবে চালু হয়নি। তাই গ্যাস ও বিদ্যুতের চাহিদা কম থাকায় গ্রামঅঞ্চলে লোডশেডিং শুরু হলেও রাজধানীতে লোডশেডিং নেই। তবে আগামী রবিবার থেকে পুরোদমে শিল্প-কারখানা চালু হওয়ার পর পরিস্থিতি কী হতে পারে তার নিশ্চয়তা দিতে পারছে না বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগের সংশ্লিষ্টরা।

বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, গতকাল মঙ্গলবার থেকে অফিস-আদালত খোলা হলেও এখনো বেশিরভাগ শিল্প-কারখানা চালু হয়নি।

তাই চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যাচ্ছে। তবে আগামী রবিবার থেকে কারখানাগুলোও চালু হয়ে যাবে। তখন থেকে আবার বিদ্যুতের কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে পারে। কারণ তখন গ্যাস সংকটে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হবে না। ফলে চাহিদার তুলানায় বিদ্যুৎ সরবরাহ না করতে পেরে লোড শেডিংয়ে যেতে হবে বিতরণ কম্পানিগুলোকে।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবির) কর্মকর্তারা জানান, গতকাল বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা ছিল সাড়ে ১২ হাজার মেগাওয়াট। এর প্রায় পুরোটাই এখন সরবরাহ করার পরিস্থিতি তাদের রয়েছে।

বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) পরিচালক (কারিগরি) রফিকুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, শিল্প-কারখানা এখনো পুরোপুরিভাবে চালু না হওয়ায় আমরা চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবারহ করছি। তারপরও বিভিন্ন এলাকায় লোড শেডিং হচ্ছে। আগামী রবিবার থেকে আবার লোড শেডিং শুরু হবে। কারণ রবিবার থেকে সবকিছুই চালু হলে বিদ্যুতের চাহিদা আবার বেড়ে যাবে। তখন বাধ্য হয়েই আমাদের লোড শেডিংয়ে যেতে হবে।

তিনি বলেন, রবিবারের পর বিদ্যুতের চাহিদা প্রায় ১৫ হাজার মেগাওয়াটে চলে যাবে। গ্যাস সংকট থাকায় সর্বোচ্চ সাড়ে ১২ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হবে। তখন প্রায় দুই থেকে আড়াই হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ঘাটতি থাকতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat