×
  • প্রকাশিত : ২০২২-০৭-০৭
  • ৭০ বার পঠিত
আর মাত্র দুই দিন। তারপরেই ফুরাচ্ছে দীর্ঘ তিন বছরের অপেক্ষা। ৮ জুলাই সারা বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশেও মুক্তি পাবে বহুল প্রতীক্ষিত মার্ভেল ছবি ‘থর—লাভ অ্যান্ড থান্ডার’। প্রায় তিন বছর আগে ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই এ সিনেমার ঘোষণা দেওয়া হয়। এর চার দিন পরে সান ডিয়াগোর কমিকন উৎসবে জানানো হয় সিনেমার নাম। মার্ভেল সিনেমাটিক ইউনির্ভাসের ২৯তম সিনেমাটিতে আছেন একঝাঁক তারকা। যার মধ্যে অতি অবশ্যই আছেন ক্রিস হেমসওয়ার্থ। ছবির প্রাণভোমরা থর চরিত্রে দেখা যাবে তাঁকে। এ নিয়ে অষ্টমবারের মতো এই চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। ‘থর’ই মার্ভেল সিনেমাটিক ইউনিভার্সের একমাত্র চরিত্র, যাকে নিয়ে চারটি আলাদা সিনেমা তৈরি হয়েছে। ছবির জনিপ্রয়তা এতেই কিছুটা আঁচ করতে পারা যাচ্ছে।

‘থর—দ্য লাভ অ্যান্ড থান্ডার’–এ যেন অস্কারজয়ীদের মেলা বসেছে। ক্রিশ্চিয়ান বেল, ম্যাট ডেমন, নাটালি পোর্টম্যান, তাইকা ওয়াইটিটি ও রাসেল ক্রো—এক ছবিতেই আছেন পাঁচজন অস্কারজয়ী। আছেন দুই অস্কার মনোনীত অভিনয়শিল্পীও ব্রাডলি কুপার ও মেলিসা ম্যাকারথি। তবে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল ক্রিশ্চিয়ান বেলের অভিনয় নিয়ে। কারণ, অভিনয়ের সুযোগ কম থাকায় ‘ব্যাটম্যান’–এর পর সুপারহিরো ছবিতে অভিনয় করতে চাননি তিনি। তার ওপর তৈরি হয় সূচি জটিলতা। এই সিনেমার শুটিং শুরুর মাত্র তিন দিন আগে আরেকটি ছবির শুটিং করেন বেল। তিনি বরাবরই দুই ছবির কাজের মধ্যে বড় বিরতি রাখেন। কিন্তু তারপরও শেষ পর্যন্ত ‘থর’–এ তিনি যুক্ত হয়েছেন তাঁর প্রধান কারণ সন্তানের আবদার! তাঁর সন্তানেরা এই সিনেমার এতটাই পাগল যে বেল শত প্রতিকূলতাতেও না করতে পারেননি।

ছবির জন্য নিজেকে তৈরি করতে কঠোর পরিশ্রম করেছেন ক্রিস হেমসওয়ার্থ। কারণ, ‘থর’ এমন একটি চরিত্র যাকে পর্দায় শারীরিকভাবে অনেক শক্ত–সমর্থ দেখাতে হয়। এ জন্য নিজের ওজন বাড়িয়ে ১০৫ কেজি করতে হয়েছে তাঁকে। অভিনেতার দীর্ঘদিনের ট্রেনার লুক জোকসি এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘এ ছবিতে তাকে সবচেয়ে বড় দেখা যাবে, এতটা ভারী সে কখনো ছিল না।’ তিনি আরও জানান, শুটিং চলার পুরোটা সময় তাঁর মাংসপেশি ঠিক রাখতে নিয়ম করে দিনে আটবার খাবার খেতেন। ছবির জন্য পেশিবহুল শরীর তৈরি করতে হয়েছে নাটালি পোর্টম্যানকেও। ছবির জেন ফস্টার চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তুতির জন্য এক বছর আগে থেকে তৈরি হয়েছেন তিনি।

ছবির পরিচালক তাইকা ওয়াইটিটি গড়েছেন নতুন রেকর্ড। প্রথম পরিচালক হিসেবে তিনি দ্বিতীয়বারের মতো ‘থর’ ছবি পরিচালনা করলেন। ‘থর—লাভ অ্যান্ড থান্ডার’ ছবির শুটিং হয়েছে অস্ট্রেলিয়ায়। যা ছবির অনেক পাত্রপাত্রীর জন্যই ‘ঘরে ফেরা’। কারণ, অস্ট্রেলিয়া হেমসওয়ার্থের নিজের দেশ। অন্যদিকে তাইকা ওয়াইটি ও রাসেল ক্রোর বাড়ি প্রতিবেশী দেশ নিউজিল্যান্ডে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat