ঈদ যাত্রার প্রথম দিন বাসে চাপ কম, ৬ ট্রেন ছাড়তে দেরিআসন্ন ঈদ ঘিরে এরই মধ্যে রাজধানী ছাড়তে শুরু করেছে মানুষ। তবে গতকাল মঙ্গলবার ঈদ যাত্রার প্রথম দিন ঢাকা ছাড়ার তেমন কোনো চাপ ছিল না। বাস স্বাভাবিকভাবেই টার্মিনালগুলো থেকে ছেড়ে গেছে। যদিও প্রথম দিন ছয় ট্রেনের যাত্রায় দেরি হয়েছে।
অতিরিক্ত গাড়ির চাপ ও ছোটখাটো দুর্ঘটনার কারণে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত মহাসড়কে ১৪ কিলোমিটার এলাকায় সোমবার রাত থেকে সকাল পর্যন্ত যানবাহনের ধীরগতি ছিল। পরে তা স্বাভাবিক হয়ে আসে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে স্বচ্ছন্দেই যান চলাচল করেছে।
কমলাপুর স্টেশন থেকে সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে চিলাহাটিগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ছেড়েছে ৭টা ৪০ মিনিটে। রাজশাহীগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেস দেড় ঘণ্টা দেরিতে সকাল সাড়ে ৮টায় স্টেশন ছাড়ে। সোয়া ৮টার সুন্দরবন এক্সপ্রেস ছাড়ে সাড়ে ৯টায়। দেওয়ানগঞ্জগামী তিস্তা এক্সপ্রেস ২৫ মিনিট, রংপুর এক্সপ্রেস ৩০ মিনিট এবং তারাকান্দিগামী অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস ছেড়েছে দেড় ঘণ্টা দেরিতে। কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক মো. মাসুদ সারওয়ার বলেন, সকালে স্টেশনে ট্রেন আসতে দেরি করায় আবার ছেড়ে যেতে দেরি হয়েছে। স্টেশনে আসার পর ট্রেন পরিষ্কার করাসহ বেশ কিছু কাজ করতে হয়। এতে সময় লাগে।
হানিফ পরিবহনের মহাব্যবস্থাপক জানান, কাল-পরশু থেকে বাসের চাপ বাড়া শুরু হবে। আপাতত কোনো সমস্যা হচ্ছে না। সব কিছুর শিডিউল ঠিক আছে।
বঙ্গবন্ধু সেতু এলাকায় ধীরগতি
অতিরিক্ত গাড়ির চাপ, ছোটখাটো দুর্ঘটনা এবং এলোমেলোভাবে গাড়ি চালানোর কারণে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব প্রান্ত থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত রাত ৩টার পর থেকে থেমে থেমে যানজট সৃষ্টি হয়। বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার ওসি সফিকুল ইসলাম বলেন, সকালের দিকে মহাসড়কে যানবাহনের চাপ ছিল। বিশেষ করে ঢাকামুখী পশুবাহী ট্রাকের সংখ্যা ছিল অনেক। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে যায়। বঙ্গবন্ধু সেতুর দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান মাসুদ বাপ্পী বলেন, সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দিনের প্রথম ১৫ ঘণ্টায় এ সেতু দিয়ে ১৭ হাজার ৩০০ ছোট-বড় যান পারাপার হয়েছে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে স্বস্তি
গত ঈদুল ফিতরের মতো এই ঈদেও সংস্কারকাজ, মহাসড়কের পাশে বাজার থাকাসহ বিভিন্ন কারণে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ঈদ যাত্রায় যানজটে আটকে চালক ও যাত্রীদের ভোগান্তিতে পড়ার আশঙ্কা করা হয়েছিল। তবে এবার দেশের ব্যস্ততম এই মহাসড়কে স্বস্তির ঈদ যাত্রা করতে পেরে খুশি চালক ও যাত্রীরা। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের প্রায় ১০০ কিলোমিটার এলাকা পড়েছে কুমিল্লা জেলায়।
গতকাল সরেজমিনে বেশির ভাগ এলাকা ঘুরে কোথাও যানজট দেখা যায়নি। হাইওয়ে পুলিশের কুমিল্লা অঞ্চলের প্রধান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ বলেন, গত ঈদুল ফিতরে অনেক শঙ্কা থাকার পরও শেষ পর্যন্ত মানুষ স্বস্তিতে বাড়ি ফিরেছিল। এবারের ঈদুল আজহায় মানুষ স্বস্তিতে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে।
এ জাতীয় আরো খবর..