ওমিক্রন ধরনের নতুন দুই উপধরনের (বিএ.৪ এবং বিএ.৫) কারণে দ্রুতগতিতে সংক্রমণ নভেল করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) ছড়িয়ে পড়ছে। আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) গতকাল মঙ্গলবার এ তথ্য জানায়। আইসিডিডিআরবি আরো জানায়, এই উপধরনগুলো উচ্চ সংক্রামক হলেও মৃত্যু ও হাসপাতালে ভর্তির হার কম।
আইসিডিডিআরবির ওয়েবসাইটে গতকাল প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওমিক্রনের নতুন দুই উপধরনের ফলে দেশে সংক্রমণের নতুন ঢেউ দেখা দিয়েছে।
এই উপধরনগুলো গত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত হয়েছিল।
দেশে ওমিক্রন ধরন প্রথম শনাক্ত হয় ২০২১ সালের ৬ ডিসেম্বর। চলতি বছরের জানুয়ারিতে প্রথম দুই সপ্তাহে বেশির ভাগ করোনা পজিটিভ রোগীর মধ্যে ‘বিএ.১’ উপধরন। পরে জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহ থেকে সংক্রমিত হয় উপধরন বিএ.২। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিএ.১ প্রতিস্থাপন করে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত সংক্রমণ ঘটায়।
আইসিডিডিআরবি জানায়, চলতি বছরের ৯ এপ্রিল থেকে ১৩ মে এর মধ্যে দেশে করোনা শনাক্তের হার খুব কম থাকায় সিকোয়েন্সিং করা সম্ভব হয়নি। এ অবস্থায় গত ১৯ মে ঢাকায় প্রথম সন্দেহভাজন ওমিক্রন উপধরন বিএ.৫ রোগী শনাক্ত করা হয়। এরপর গত ছয় সপ্তাহে (১৪ মে থেকে ২৪ জুন পর্যন্ত) বিএ.৫ সবচেয়ে শক্তিশালী উপধরন হয়ে ওঠে। এমনকি এই সময়ের মধ্যে সম্পূর্ণ জিনোম সিকোয়েন্সিং ব্যবহার করে ৫২টি করোনা পজিটিভের ঘটনায় ৫১টি বিএ.৫ সাবভেরিয়েন্ট এবং একটি বিএ.২ চিহ্নিত করা হয়েছিল।
৪০ জন বিএ.৫ সংক্রমিত রোগীর ক্লিনিক্যাল ডাটা এবং টিকাদানের ইতিহাস পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, সংক্রমিতদের মধ্যে ১৬ জন পুরুষ ও ২৪ জন নারী। তাদের ৩৯ জনের মধ্যে করোনার মৃদু উপসর্গ দেখা গেছে এবং একজনের মধ্যে কোনো উপসর্গ দেখা দেয়নি। তাদের মধ্যে মাত্র একজনকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল। তাদের মধ্যে ১১ জন দ্বিতীয়বারের মতো এবং সাতজন তৃতীয়বারের মতো করোনায় আক্রান্ত হয়েছিল।
এ জাতীয় আরো খবর..