×
  • প্রকাশিত : ২০২২-০৭-০৫
  • ৮৩ বার পঠিত
২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ বিলিয়ন বা ১০ হাজার কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানির লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করেছে এই খাতের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ তৈরী পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারকদের সমিতি বিজিএমইএ। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে এই লক্ষ্যমাত্রার কথা জানান সংগঠনের সভাপতি মো. ফারুক হাসান।

পোশাক শিল্পের টেকসই উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে নতুন রূপকল্প প্রণয়নের আনুষ্ঠানিক  ঘোষণাকালে লোগো উন্মোচন করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। এতে উদ্ভাবন, সার্কুলারিটি এবং সবুজ উদ্যেগের বিষয়টি তুলে আনা হয়।

অনুষ্ঠানে বিজিএমইএ'র সাবেক ও বর্তমান নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় ফারুক হাসান বলেন, স্থানীয় পোশাক রপ্তানিকারকরা পোশাক ও বাজারে বৈচিত্র আনছে। তবে ১০০ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানির  লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে রপ্তানিকারকদের ম্যান মেইড ফাইবার, প্রযুক্তিগত পোশাক এবং  উচ্চ মূল্যে সংযোজিত পোশাকে গুরুত্ব দিতে হবে।  

সদ্য বিদায়ী অর্থ বছরে বাংলাদেশ পোশাক খাতের মাধ্যমে ৪ হাজার ২৬১ কোটি ডলারের আয় করেছে, যা আগের বছরে থেকে  ৩৫.৪৭ শতাংশ বেশী। এরমধ্যে  নিট পোশাক পণ্য  থেকে আয় হয়েছে  ২ হাজার ৩২১ কোটি ডলার এবং  ওভেন পোশাক থেকে আয় হয়েছে ১ হাজার ৯৩৯ কোটি ডলার। এর আগে, বিজিএমইএ ২০১৫ সালেও ২০২১ সালের মধ্যে ৫০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের  পোশাক রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল।

লোগো উন্মোচন নিয়ে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন,  যেহেতু বিজিএমইএ আমাদের  পোশাক শিল্পের মূখপাত্র, তাই এ শিল্পের এগিয়ে যাওয়া এবং ব্র্যান্ডিংয়ের জন্য বিজিএমইএ'র নিজস্ব ব্র্যান্ডিংও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর তাই আমরা আমাদের বিজিএমইএ'র অতীত ঐতিহ্যকে অটুট রেখে আগামীর টেকসই শিল্পনির্মাণের  প্রত্যয় নিয়ে  বিজিএমইএ'র করপোরেট আইডেনটিটি অর্থাৎ  লোগোতে পরিবর্তন এনেছি।

তিনি আরও বলেন, আমরা মনেকরি বিজিএমইএ'র রিনিউড ভিশন বা নতুন প্রত্যয় সমগ্র বিশ্বে  পোশাক শিল্পের ভবিষ্যৎ অগ্রাধিকার সম্পর্কে একটি সুস্পষ্ট বার্তা দেবে। এটি একটি ডাইনামিক  লোগো, যাতে ৯টি অগ্রাধিকার সম্পন্ন বিষয়কে ডটের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে। এগুলোর প্রত্যেকটিরই স্বতন্ত্র অর্থ আছে।

ফারুক হাসান লিখিত বক্তব্যে বলেন, প্রযুক্তির ব্যাপক পরিবর্তনের সঙ্গে  পোশাক শিল্প এমন একটি জায়গায় পৌঁছেছে যে শিল্পের প্রচলিত নিয়মগুলো খাটছে না, প্রায়শই চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। শিল্পকে আরও এগিয়ে নেওয়ার জন্য পণ্যেও ডিজাইন পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়া, সর্বশেষ প্রযুক্তি গ্রহণ করা উৎপাদন ব্যয় হ্রাস করা এবং কারখানাগুলোকে আরও  টেকসই করার কোনো বিকল্প নেই। আর এ প্রচেষ্ঠাগুলো শুরু করার জন্য সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোতে জ্ঞানার্জন প্রতিষ্ঠা করেছি। এই  কেন্দ্রের লক্ষ্য হচ্ছে  পোশাক শিল্পের সক্ষমতা বৃদ্ধির সুযোগগুলো চিহ্নিত করে  প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও ক্যাপাসিটি বিল্ডিং করা।  

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat