শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে বাসের ধাক্কায় মাইক্রোবাস উল্টে আব্দুল হক মোল্লা (৬৫) নামে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন।
শনিবার বিকাল ৩টার দিকে পদ্মা সেতুর টোলপ্লাজার জাজিরা নিকটবর্তী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আব্দুল হক কিশোরগঞ্জের ভৈরবের সাগাইয়া গ্রামের তোতা মিয়ার ছেলে।
পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
দুর্ঘটনার শিকার মাইক্রোবাসের আরোহীরা জানান, শনিবার ভৈরবের সাগাইয়া গ্রামের লোকজন মাইক্রোবাস নিয়ে পদ্মা সেতু দেখতে আসেন। সকালে সেতু পার হয়ে তারা ফরিদপুরের ভাঙ্গা যান। পরে ভাঙ্গা থেকে বাড়ি ফেরার পথে পদ্মা সেতুর শরীয়তপুরের জাজিরা অংশের এক্সপ্রেসওয়েতে কুয়াকাটা থেকে আসা একটি যাত্রীবাহী বাস পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে মহাসড়কে মাইক্রোবাসটি উল্টে দুমড়ে-মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই আব্দুল হক মারা যান। আহত হন অন্তত ১০ জন। তাদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
পদ্মা সেতুর দক্ষিণ থানার এসআই আশরাফ জানান, কিশোরগঞ্জের ভৈরব থেকে মাইক্রোবাসে করে লোকজন পদ্মা সেতু দেখতে এসেছিলেন। দুর্ঘটনার শিকার মাইক্রোটির সঙ্গে আরও কয়েকটি মাইক্রোবাস ছিল।
তিনি জানান, কুয়াকাটা থেকে অন্তরা পরিবহণের যাত্রীবাহী বাসটি পেছন থেকে ধাক্কা দিলে ওই মাইক্রোবাসটি উল্টে যায়। এ সময় আব্দুল হক গাড়ির জানালা দিয়ে বাইরে ছিটকে পড়লে বাসের চাকা তার মাথার ওপর দিয়ে চলে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
এ সময় অন্তত ১০-১২ জন আহত হন। আব্দুল হককে তাৎক্ষণিক ঢাকায় পাঠানো হয়। বাকিদের চিকিৎসার জন্য শিবচর ও পাচ্চরের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সুজন বলেন, নিহত আব্দুল হক মাইক্রোবাসের আরোহী ছিলেন। দুর্ঘটনাকবলিত বাস ও মাইক্রো থানায় আনা হয়েছে।
এ জাতীয় আরো খবর..