ইভিএমের কারিগরি ও ভোটদান বিষয়ে মতবিনিময়সভায় যোগদানে অপারগতা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি। সোমবার পৃথক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দল দুটির পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বাসদের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ইভিএমের কারিগরি ও ভোটদান বিষয়ে মতবিনিময়ের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়ে নির্বাচন কমিশন থেকে আমাদের দল বাসদকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। গত ২১ জুন বাসদ অফিসে সেই চিঠি পৌঁছায়।
কিন্তু নির্বাচন কমিশনের আমন্ত্রণে গত ২০১৭ সালের ৫ অক্টোবর ও ২০১১ সালের ২৭ জুন তারিখে তৎকালীন কমিশনের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে মতবিনিময়সভায় উপস্থিত হয়ে লিখিতভাবে এবং মৌখিকভাবে বেশ কিছু প্রস্তাব বাসদের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছিল। কমিশন বাসদের প্রস্তাব ও মতামত মনোযোগ দিয়ে শুনেছিল এবং বাস্তবায়নের জন্য বিবেচনার আশ্বাসও দিয়েছিল। পরে কোনো কিছুই বাস্তবায়ন করতে দেখা যায়নি।
দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়, কোন কারণে আমাদের প্রস্তাব বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি, তা আমাদের জানানোর ন্যূনতম সৌজন্যটুকুও কমিশন দেখায়নি। আমাদের দল মনে করে, নির্বাচনকালীন সরকার, নির্বাচন কমিশন, নির্বাচনী পরিবেশ, প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর প্রতি জনগণের আস্থা অর্জন ছাড়া যে নিরপেক্ষ সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না, তা দেশের জনগণ গত ১১টি নির্বাচনে প্রত্যক্ষ করেছে।
বাসদ মনে করে, বিগত ২০১৭ ও ২০১১ সালে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তাদের দলের পক্ষ থেকে যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল তা আজও প্রাসঙ্গিক। ফলে কমিশনের সঙ্গে মতবিনিময় করতে গিয়ে তাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করার কোনো অর্থ হয় না, বিধায় আগামী ২৮ জুনের মতবিনিময়সভায় অংশগ্রহণ করছে না।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতি চালু করার কোনো অবকাশ নেই। সোমবার দুপুরে নির্বাচন কমিশনের সচিব বরাবর পাঠানো চিঠিতে সভায় অংশ নিতে পার্টির অপারগতা জানিয়ে ইভিএম সম্পর্কে সাত দফা মতামত জানানো হয়েছে।
সাত দফায় বলা হয়, বাংলাদেশের ভোটাররা ইভিএমে ভোট দেওয়ার জন্য এখনো প্রস্তুত নয়। যেহেতু নির্বাচন কমিশন ইভিএম নিয়ন্ত্রণ করবে, সেখানে সফটওয়্যার নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ভোটের ফল নিয়ন্ত্রণের সুযোগ থাকে, সে কারণে তা বাতিল করা। ইভিএমে পুনরায় ব্যালট গণনার সুযোগ থাকলেও ইভিএম পদ্ধতিতে নেই।
এ জাতীয় আরো খবর..