স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে অনুষ্ঠিতব্য সমাবেশ সফল করতে পিরোজপুর জেলা থেকে মুক্তিযোদ্ধাসহ ১৫ হাজার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী যোগ দেবেন।
পিরোজপুর জেলা পরিষদের প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মহিউদ্দিন মহারাজের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে যাবেন। তাই ২৪ জুন পিরোজপুরের বিভিন্ন লঞ্চঘাট থেকে ৬টি বিলাসবহুল লঞ্চ বন্দর ত্যাগ করবে। ২৫ জুন সকাল ৮টায় পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী সমাবেশে অংশ নেবেন নেতাকর্মীরা। এ সফরের লঞ্চ ভাড়া এবং ১৫ হাজার নেতাকর্মীর চারবেলা খাবারের ব্যয় বহন করছেন মহারাজ।
জানা গেছে, স্বপ্নের সেতুর উদ্বোধনী সমাবেশে পিরোজপুর জেলার মুক্তিযোদ্ধাসহ প্রায় সব জনপ্রতিনিধি, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী অংশ নেবেন। তাদের বহনে ইতিমধ্যে ভাড়া করা হয়েছে বিলাসবহুল কীর্তনখোলা-১০, যুবরাজ-৭, সুরভী-৯, পারাবত-৮, মর্নিংসান-৯ ও ঈগল-৮ লঞ্চ। ১৫ হাজার নেতাকর্মীদের চারবেলা খাবারের ব্যবস্থাও থাকবে লঞ্চের মধ্যেই। লঞ্চভাড়া ও খাবার খরচ মহিউদ্দিন মহারাজ বহন করবেন।
নেতাকর্মীদের সুবিধার্থে পিরোজপুরের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে ছাড়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর মধ্যে ভান্ডারিয়া উপজেলার নেতাকর্মীরা চরখালী লঞ্চঘাট থেকে কীর্তনখোলা-১০ ও যুবরাজ-৭ লঞ্চে উঠে রওনা হবেন। বড়মাছুয়া স্টিমারঘাট হতে সুরভী-৯ লঞ্চে সমাবেশস্থলে যাবেন মঠবাড়িয়া উপজেলার নেতাকর্মীরা। ইন্দুরকানী উপজেলার নেতাকর্মীরা ইন্দুরকানী লঞ্চঘাট হতে পারাবত-৮ লঞ্চে উঠে বন্দর ত্যাগ করবেন। কাউখালী উপজেলার নেতাকর্মীরা কাউখালী লঞ্চঘাট হতে মর্নিংসান-৯ লঞ্চে রওনা হবে।
এছাড়া পিরোজপুর সদর উপজেলা, নাজিরপুর ও নেছারাবাদ উপজেলার নেতাকর্মীরা হুলারহাট লঞ্চঘাট থেকে ঈগল-৮ লঞ্চে উঠে সব লঞ্চ কাউখালী আমরাজুরী ফেরিঘাটে একত্রিত হবে। সেখানে আতশবাজি ফুটানোর মধ্যদিয়ে একযোগে লঞ্চগুলো সমাবেশস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা করবে।
এ জাতীয় আরো খবর..