মিশরের
পিরমিডসহ ঐতিহ্যবাহী স্থানগুলো খুলে দেয়ার পরও নেই পর্যটকদের তেমন ভিড়। লোকসানের আশঙ্কায় দর্শনীয় স্থান খুললেও লাভের মুখ দেখছে না ব্যবসায়ীরা। করোনার
কারণে আশঙ্কাজনক হারে কমেছে পর্যটক। এই খাত পুনরুদ্ধারে
নানা পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটির সরকার।
সেপ্টেম্বরের শুরুর দিকে খুলে দেয়া হয় মিশরের আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্রগুলো। তবে এখনো নেই তেমন ভিড়। অন্য সময়গুলোতে পিরামিড দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে আসতো পর্যটকরা। এখন হাতেগোনা কয়েকজনই আসছে এখানে। করোনা মহামারির কারণে গত বছরের তুলনায় পর্যটকের সংখ্যা কমেছে কয়েকগুণ।
মিশরের বিখ্যাত রেড সি রিসোর্টেও পর্যটক গেল বছরের তুলনায় অনেক কম। ভিড় নেই খান আল খালিলি মার্কেটেও। বন্ধ রয়েছে এই মার্কেটের অনেক দোকান। জুলাই থেকে মাত্র ২ লাখ পর্যটক এসেছেন দেশটির লোহিত সাগর আর দক্ষিণ সিনাই প্রদেশে। হোটেলগুলো অর্ধেক লোকবল নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু থাকলেও আসছে শীতে পর্যটন মৌসুম বেশ কঠিন হবে বলছেন ব্যবসায়ীরা। স্থানীয় এক পর্যটন ব্যবসায়ী বলেন, সবকিছুই ঠিকভাবে চলছিলো। কিন্তু এই ভাইরাস আসার পর থেকে যেন সব ধ্বংস হয়ে গেছে।'
আরো এক ব্যবসায়ী বলেন, 'এখানে অনেক পর্যটক আসতো, আর তাদের আনাগোনায় ব্যবসাও হতো খুব ভালো। জার্মান, আমেরিকান, ইতালিয়ান, চীনা আর জাপানি পর্যটকই বেশি আসতো। কিন্তু এখন তো কেউ আসে না।'
মিশরের মোট অর্থনীতির ১৫ শতাংশই নির্ভর করে পর্যটন খাতের ওপর। করোনা মহামারিতে মার্চ থেকে এখন পর্যন্ত প্রতি মাসে পর্যটন খাতে এক কোটি ডলার করে লোকসান গুনছে দেশটি। তবে পর্যটন খাতের ধস ঠেকাতে জরুরি তহবিল ঘোষণা করেছে মিশর সরকার। নিবন্ধিত ৯ হাজার ট্যুর গাইডকে বছরের শেষ নাগাদ প্রতি মাসে ৩২ ডলার করে অর্থ দেয়া হচ্ছে। বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে ট্যুরিজম ফার্মগুলোর ফি পরিশোধের সময়সীমা। সূত্র: ডিবিসি