মাত্র নয় মাস আগে ফায়ার কর্মী ফরিদুজ্জামান (২২)বিয়ে করেন। স্ত্রীকে বাড়িতে বাবা-মায়ের কাছে রেখে যোগ দেন সীতাকুণ্ডের ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সে। শনিবার রাতে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের ঘটনার সময় সহকর্মীদের সঙ্গে সেখানে দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনিও। কিন্তু দুর্ঘটনার দুইদিন পেরিয়ে গেলেও খোঁজ মেলেনি ফরিদুজ্জামানের।
এদিকে, স্বামীর শোকে স্তব্ধ হয়ে গেছেন ফরিদুজ্জামানের স্ত্রী ইসামণি। কারও সঙ্গে কথা বলছেন না। কিছুক্ষণ পরপর 'মোর স্বামীধনোক আনি দেও’- বলে বিলাপ করছেন আর মুর্ছা যাচ্ছেন তিনি।
ফরিদুজ্জামান রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার ইমাদপুর ইউনিয়নের ইমাদপুর দক্ষিণপাড়া গ্রামের আদারহাট এলাকার রিকশাচালক সাইফুল ইসলামের ছেলে। ৯ মাস আগে তিনি সীতাকুন্ডে ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সে যোগ দেন।
ফরিদুজ্জামানের পরিবার সূত্রে জানা গেছে,শনিবার রাতে কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের খবর পেয়ে সহকর্মীদের সাথে সেখানে দায়িত্ব পালন করতে যান ফরিদুজ্জামান। তার পর থেকে তার খোঁজ পাননি সহকর্মীরা। ফরিদুজ্জামানের খোঁজে তার বাবা সাইফুল ইসলাম ও মা ফুলমতি সীতাকুণ্ডে অবস্থান করছেন।
ফরিদুজ্জামানের চাচা আমান সরকার জানান, ২২ মাস আগে ফরিদুজ্জামান বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সে যোগ দেন। প্রথমে খুলনায় ট্রেনিং নেন। এরপর সীতাকুন্ডে ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সে বদলি হন। স্ত্রীকে বাড়িতে রেখে কর্মস্থলে ছিলেন। এখন তার ভাগ্যে কী ঘটেছে, সেটা তারা জানেন না।
ইমাদপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম সমকালকে বলেন, সীতাকুণ্ডের ডিপো থেকে খবর পেয়েছেন, ফায়ারম্যান ফরিদুজ্জামানের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। তবে, সার্বক্ষণিক যোগাযোগ চলছে।
মিঠাপুকুরের ইউএনও ফাতেমাতুজ জোহরা বলেন, ফরিদুজ্জামানের খোঁজে সীতাকুণ্ডের কন্ট্রোলরুমে যোগাযোগ অব্যাহত আছে।
এ জাতীয় আরো খবর..