×
  • প্রকাশিত : ২০২৪-০৮-১১
  • ৩৭ বার পঠিত
বর্তমানের মুদ্রানীতি মূল্যস্ফীতি কমাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে না। দেশের মূল্যস্ফীতি কমাতে গেলে মুদ্রানীতি যথাযথভাবে কাজ করতে হবে। এ জন্য সব সংস্থাকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। মনিটারি পলিসি টাইট রাখতে হবে।

বিনিময় হারকে স্থিতিশীল রাখতে হবে। বাজারে হানা দিয়ে জরিমানা করে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। সুদহার বাজারভিত্তিক যেটি আছে, সেটিই রাখতে হবে। পারলে বাড়তে দিতে হবে।
জোর করে সুদহার আটকে রাখলে, ক্রেডিট বাড়িয়ে দিলে, টাকা ছাপালে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না। বেশি লিকুইডিটি সাপোর্ট দেওয়া যাবে না। বিনিময় হারকে বাজারভিত্তিক করে উচ্চ পর্যায়ে রাখতে হবে। বর্তমান পলিসি যেটি আছে সেটি ঠিক আছে।
এই জায়গায় বেশি নাড়াচাড়া করা যাবে না।

মূল্যস্ফীতি কমাতে নীতি সুদহার কিছুটা বাড়ানো যেতে পারে। সাড়ে আট থেকে সাড়ে ৯ করা যেতে পারে। বাজেটের ব্যয় মেটাতে ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া কমাতে হবে। সেটা ৭০ থেকে ৮০ হাজার কোটি টাকার মধ্যে রাখতে হবে।

যেটা বাজেটে এক লাখ ৩৭ হাজার কোটি টাকা ধরা আছে। তাহলে মোটামুটি সব কিছু ঠিক থাকবে।
বাজার নিয়ন্ত্রণে তেমন কাজ হয় না। বাজারকে কেউ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। তবে চাঁদাবাজি বন্ধ করা দরকার। সেটা ব্যবসায়ের খরচ তো বাড়িয়ে দেয়। যার ফলে পণ্যের দাম বেড়ে যায়। দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেই হবে।

উল্লেখ্য, ১৪ মাস ধরে দেশে মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের কাছাকাছি। যে হারে মূল্যস্ফীতি বাড়ছে তার চেয়ে ২ শতাংশ কম হারে বাড়ছে বেতন। অর্থাৎ প্রতি মাসেই একজন মানুষকে এই পরিমাণ অর্থ ধার করে চলতে হচ্ছে। সর্বশেষ জুন মাসে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯.৭২ শতাংশ। যার বড় চাপ খাদ্যে। সর্বশেষ জুন মাসে মূল্যস্ফীতি সামান্য কমলেও জুলাইয়ে আবার বাড়তে পারে। জুন মাসে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি ছিল ১০.৪২ শতাংশ, আর খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি ছিল ৯.১৫ শতাংশ।

লেখক : নির্বাহী পরিচালক, পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat