কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে বাংলাদেশে সৃষ্ট পরিস্থিতি ‘শান্ত ও স্বাভাবিক’ হয়ে আসার কথা তুলে ধরে তাতে স্বস্তি প্রকাশ করেছে চীন।
চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে এক প্রশ্নে মুখপাত্র লিন জিয়ান বলেন, ‘বাংলাদেশে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসা এবং সামাজিক শৃঙ্খলা ফিরে আসার খবর জানতে পেরেছে চীন। বাংলাদেশের বন্ধু ও নিকট প্রতিবেশী হিসেবে চীন তাতে খুশি।’
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২০১৮ সালে সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল করে জারি করা পরিপত্র হাইকোর্ট অবৈধ ঘোষণা করলে ছাত্ররা চলতি জুলাইয়ের শুরু থেকে আন্দোলনে নামে। ধীরে ধীরে তাদের আন্দোলনের মাত্রা বাড়তে থাকে।
এরই মধ্যে ১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘাতের পর পরিস্থিতি পাল্টে যায়। ১৮ জুলাই সারাদেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা হয়। গোটা দেশে নানা গুজব ছড়িয়ে পড়ে। বিভিন্ন এলাকায় রাষ্ট্রীয় সম্পদে হামলাও শুরু হয়। বন্ধ হয়ে যায় ইন্টারনেটও। সহিংসতাং বাড়তে থাকে প্রাণহানির সংখ্যা।
পরিস্থিতির অবনতি হলে কারফিউ জারি করে সেনা মোতায়েন করা হয় সারা দেশে। তারপরও বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ চলে। তবে সহিংসতা এবং অচলাবস্থা কাটিয়ে বুধবার থেকে স্বাভাবিক সময়ে অফিস কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিন জিয়ানকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, বাংলাদেশ পরিস্থিতি ক্রমান্বয়ে শান্ত হয়ে আসার খবর এসেছে এবং সেখানকার জীবনযাত্রা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরেছে। এরপরও বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে কিছু দেশ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এ বিষয়ে চীনের মন্তব্য কি?
এর উত্তরে পরিস্থিতি ‘স্বাভাবিক’ হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করে মুখপাত্র বলেন, চীন ও বাংলাদেশ সামগ্রিক কৌশলগত সহযোগী অংশীদার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফরে দুই দেশের নেতৃত্বের মধ্যকার অভিন্ন বোঝাপড়ার বিষয়গুলো বাস্তবায়নে চীন প্রস্তুত রয়েছে।
একইসঙ্গে দুদেশের সামগ্রিক কৌশলগত অংশীদারত্বকে গভীর করার মাধ্যমে উভয় দেশের জনগণের উপকার বয়ে আনার বিষয়েও প্রস্তুত থাকার কথা বলেন চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিন জিয়ান।
এ জাতীয় আরো খবর..