×
  • প্রকাশিত : ২০২৪-০৬-২৫
  • ৩৯ বার পঠিত
ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, দেশের ৬৪ জেলায় প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষ মসজিদ রয়েছে। এসব মসজিদে প্রায় ১৭ লাখ ইমাম-মুয়াজ্জিন কর্মরত রয়েছে। তারমধ্যে বায়তুল মোকারম জাতীয় মসজিদ, আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ এবং জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদে তিনজন খতিব, ছয়জন পেশ ইমাম ও ছয়জন মুয়াজ্জিনের বেতন ভাতা সরকারিভাবে দেওয়া হয়। 

মঙ্গলবার (২৫ জুন) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মো. নাসের শাহরিয়ার জাহেদীর লিখিত প্রশ্নের উত্তরে ধর্মমন্ত্রী আরো বলেন, ‘প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে ৫৬৪টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় একজন ইমাম, একজন মুয়াজ্জিন ও একজন খাদেমকে সম্মানীর ভিত্তিতে নিয়োগ করা হচ্ছে।

একইসাথে ৫৬৪টি মডেল মসজিদের জন্য রাজস্ব খাতে পদ সৃজনের প্রস্তাব করা হয়েছে।’ 
সারাদেশে মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্পে ৪৯ হাজার ৭১৯ জন ইমাম ও মুয়াজ্জিন কর্মরত উল্লেখ করে ফরিদুল হক খান বলেন, ‘তাদেরকে প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা হারে সম্মানী দেওয়া হয়। ভবিষ্যতে এই প্রকল্পের পরিধি বাড়িয়ে অন্যান্য ইমাম ও মোয়াজ্জিনদের সন্মানির আওতায় আনা হবে। ইমাম ও মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্টের আওতায় প্রতি বছর ৫ হাজার ৫০০ জনকে ৪ হাজার টাকা হারে ২ কোটি ২০ লাখ টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়।

তবে ট্রাস্টি বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক আর্থিক সাহায্য গ্রহণকারীর সংখ্যা ও সাহায্যের পরিমাণ বাড়ানো হয়। এছাড়া কল্যাণ ট্রাস্টের আওতায় প্রতিবছর ৬০০ জনকে ১৫ হাজার, ২০ হাজার ও ২৫ হাজার এই তিনটি শ্রেণিতে বিভক্ত করে এক কোটি ২০ লাখ টাকা সুদবিহীন ঋণ দেওয়া হয়।’
সংসদ সদস্য মো. আসাদুজ্জামান আসাদের লিখিত প্রশ্নের উত্তরে ধর্মমন্ত্রী জানান, ২০২০ ও ২০২১ সালে করোনার কারণে বাংলাদেশ হতে কোনো হজ গমনেচ্ছু সৌদি আরব গমন করেনি। ২০২২, ২০২৩ ও ২০২৪ সালে এয়ারলাইন্সগুলোর সিডিউল বিপর্যয়ের কারণে কোনো হজ গমনেচ্ছু হজ ক্যাম্পে হয়রানি ও ভোগান্তির স্বীকার হয়নি।

তবে এ ধরনের সমস্যা নিরসনে ভবিষ্যতে সুচিন্তিত মতামতের ভিত্তিতে এয়ারলাইন্সগুলোর সাথে আলোচনা করে সিডিউল নির্ধারণ করা হবে।
সরকারি দলের সংসদ সদস্য এইচ, এম বদিউজ্জামানের এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে ফরিদুল হক খান বলেন, ‘মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম-৭ম পর্যায় প্রকল্পের আওতায় শিক্ষাদানে নিয়োজিত ইমামদের মাসিক সম্মানী ৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়ে থাকে। ধর্মীয় শিক্ষা কার্যক্রম বৃদ্ধির লক্ষ্যে চলমান প্রকল্পকে বিস্তৃত করে ইমামদের প্রতিমাসে বেতন ও ঈদ বোনাসসহ নিশ্চয়তার সাথে প্রদান করা হয়ে থাকে। হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের আওতায় বাস্তবায়নাধীন মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম-৬ পর্যায় শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে শিশুদের ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা প্রদান করা হয়ে থাকে। এই প্রকল্প কেবল শিশুদের ধর্মীয় ও নৈতিকতা শিক্ষা প্রদানের জন্য গৃহীত তথাপি কেন্দ্র শিক্ষকগণ শিক্ষা প্রদানের সম্মানি বাবদ মাসে ৫ হাজার টাকা পেয়ে থাকেন।

এই প্রকল্পের মাধ্যমে পুরোহিতদের বেতন দেওয়ার বিষয়ে কোনো পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়নি।’

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat