×
  • প্রকাশিত : ২০২৪-০৬-১৩
  • ৭২ বার পঠিত
বিকেল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হচ্ছে। সেইসঙ্গে বজ্রপাতও। এতে দুর্ভোগ নেমেছে কোরবানির পশুর হাটে। বৃষ্টির বাগড়ায় হঠাৎ ক্রেতা কমে যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন পশু বিক্রেতারা।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সকালে যথারীতি সূর্য উদয় হলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মেঘের আড়ালে চলে যায়। মাঝে মধ্যে উঁকি দিতে দেখা যায়। হালকা বাতাস থাকলেও ছিল ভ্যাপসা গরম। বিকেল থেকে অন্ধকার হতে থাকে রাজধানীর আকাশ। অবশেষে পৌনে ৫টার দিকে বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি নামে। ক্ষণে ক্ষণে মেঘের গর্জনে কেঁপে উঠছে আকাশ।

এদিকে, হঠাৎ বৃষ্টিতে কাদামাটি হয়ে যায় কোরবানির পশুর হাট। কিছু কিছু অংশে ছাউনির ব্যবস্থা না থাকায় পশুগুলোকে ভিজতে দেখা গেছে। ভিজছেন বিক্রেতারাও। অনেককে ত্রিপল দিতেও দেখা যায়। বিকেল থেকে ক্রেতার সংখ্যা প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমেছে। ফলে থেমে রয়েছে বেচাকেনা।

রাজধানীর হাজারিবাগের পশুর হাটে গিয়ে জানা যায়, গরু-ছাগল মিলিয়ে ৩০ হাজার গবাদিপশু উঠেছে। যদিও দাম নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে। এর মধ্যে বৃষ্টি পড়ছে। ফলে ক্রেতাও নেই। সারা দিনে এই হাটে বিক্রি হয়েছে মাত্র ২০টি গবাদি পশু।
  
ব্যবসায়ীরা বলছেন, আর তিনদিন পরই কোরবানির ঈদ। এখন পর্যন্ত সেভাবে জমে ওঠেনি বেচাবিক্রি। এমন পরিস্থিতিতে বৃষ্টির বাগড়ায় চিন্তিত তারা। পাশাপাশি ভালো দাম না পাওয়ার আশঙ্কাও করছেন ব্যবসায়ীরা।
 
ঝুম বৃষ্টিতে বাস কাউন্টারে সময়মতো পৌঁছাতে পারছেন না ঘরমুখো মানুষ। ছবি: সময় সংবাদ

অন্যদিকে, শেষ কর্মদিবসের পর বিকেল থেকে বাড়ির পথ ধরেছেন লাখও মানুষ। রাজধানীর তীব্র যানজট অতিক্রমের পর বাস টার্মিনাল, রেলস্টেশন ও লঞ্চঘাটে ভিড় করছেন তারা। এর মধ্যে বৃষ্টির বাগড়া যেন আরও ভোগান্তি বাড়িয়েছে তাদের।  
 
বিকেলে গাবতলী বাস টার্মিনাল এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কাউন্টার ও সড়কে ভিড় করছেন ঘরমুখো যাত্রীরা। রাজধানীর তীব্র যানজটের ভোগান্তি শেষ হতে না হতেই হঠাৎ নামে ঝুম বৃষ্টি। এতে স্বস্তির বদলে বিপাকে পড়েন মানুষ।
 
হোসেন গাজী নামে নড়াইলগামী এক যাত্রী সময় সংবাদকে বলেন, ‘মিরপুর ১০ থেকে বাসে উঠি গাবতলীর উদ্দেশে। এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে যানজট পেরিয়ে টেকনিক্যাল এসে নেমে গেলাম। তাড়াতাড়ি গাবতলীর পথে হাঁটতে শুরু করি, এরমধ্যেই নেমে এলো ঝুম বৃষ্টি। এখন ব্যাগ, লাগেজ নিয়ে কীভাবে বাস কাউন্টারে যাবো বুঝতে পারছি না। ভালোই বিপদে পড়লাম।’
 
কথা হয় আরেক যাত্রী সজল আহমেদের সঙ্গে। তিনি সময় সংবাদকে বলেন, ‘৬ টার টিকিট কাটছি বাড়ি যাওয়ার জন্য। এখন পাঁচটা বাজে। এমন তীব্র যানজটে পড়লাম। নেমে হাঁটা দিলাম বাস ধরতে। শুরু হলো তুমুল বৃষ্টি। মনে হয় বাড়ি যাওয়াটাই হবে না। কখন থামবে আর কখন যাবো বুঝে আসছে না।’

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat