মানিকগঞ্জের সিংগাইরে ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে ৯৫ ভরি স্বর্ণালংকার লুটের ১১ দিনের মাথায় মুন্সীগঞ্জের একটি বসতবাড়ির গোয়ালঘরের ভেতরে মাটি খুঁড়ে পাওয়া গেল ৪৮ ভরি সোনা। এর আগে ডাকাত দলের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
বুধবার মুন্সীগঞ্জের কুচিয়ামোড়া টোলপ্লাজা থেকে একজন ডাকাতকে গ্রেফতারের পর তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অপর ডাকাতকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ডাকাতদলের সদস্য শাহ আলম মিয়ার বসতবাড়ির গোয়ালঘরের ভেতরে মাটি খুঁড়ে এ স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন- ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানার রঘুনাথপুর এলাকার আহম্মেদ শেখের ছেলে সিদ্দিক শেখ (৫০)ও রাজবাড়ী জেলার সদর থানার শ্রীপুর এলাকার মৃত আবুল কালাম মিয়ার ছেলে শাহ আলম মিয়া (৪৮)।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে গোলাম আজাদ খান বলেন, স্বর্ণ ডাকাতি ও ব্যবসায়ীকে অপহরণ মামলার তদন্তকালে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ডাকাত দলের সদস্য সিদ্দিক শেখকে বুধবার মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান থানার কুচিয়ামোড়া টোলপ্লাজা থেকে গ্রেফতার করা হয়। সিদ্দিক শেখের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ডাকাতদলের অপর সদস্য শাহ আলম মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর শাহ আলম মিয়ার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তার নিজ বসতবাড়ির গোয়ালঘরের মাটি খুঁড়ে ৪৮ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। আইনি প্রক্রিয়া শেষে গ্রেফতারকৃত ডাকাত দলের সদস্যদের আদালতে সোপর্দ করা হবে।
এর আগে গত ১ জুন সকাল ৭টার দিকে জেলার সিংগাইর উপজেলার জামশা ইউনিয়নের আমতলা গ্রামে ঢাকার দোহারের এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী ও তার সঙ্গে থাকা ৩ সঙ্গীকে ৯৫ ভরি স্বর্ণসহ জোরপূর্বক র্যাবের স্টিকারযুক্ত মাইক্রোবাসে তুলে নেয় ডাকাত দলের সদস্যরা। পরে উপজেলার গোলাইডাঙ্গা এলাকা থেকে ডাকাত দলের গাড়ির গতিরোধ করে ডাকাত দলের ৫ সদস্যকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দেয় স্থানীয়রা।
সিংগাইর থানার ওসি জিয়ারুল ইসলাম জানান, সম্রাট, মিরাজুল, আমিজ এবং মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। শামীমুজ্জামান নামে একজনের নেতৃত্বে এই স্বর্ণ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। তার পরিকল্পনাতেই আসামিরা ওই হাইয়েস গাড়িটি ভাড়া করেছিল। ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ওই গাড়ি, র্যাবের আইডি কার্ড ও র্যাব লেখা স্টিকার জব্দ করা হয়েছে।
এ জাতীয় আরো খবর..