বাংলা চলচ্চিত্রশিল্পকে এগিয়ে নিতে প্রতিবছর বাংলাদেশ সরকার বিশেষ অনুদান ঘোষণা করে। তাদের মতে, মেধা ও সৃজনশীলতাকে উৎসাহিত করতেই এ উদ্যোগ। তারই ধারাবাহিকতায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে চারটি শাখায় সরকার ২০টি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রকে অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মধ্যে ১৬টি চলচ্চিত্র পাবে ৭৫ লাখ টাকা করে।
বাকি চারটি পাবে ৫০ লাখ টাকা করে। আজ প্রকাশিত প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রকাশিত প্রজ্ঞাপন থেকে জানা যায়, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক শাখায় ৭৫ লাখ টাকা পেয়েছেন পরিচালক ও প্রযোজক সাজেদুল ইসলাম (পাকিস্তানে বন্দীজীবন ১৯৭১) ও রাকিবুল হাসান (ছোঁয়া) চলচ্চিত্রের জন্য।
এ ছাড়া শিশুতোষ শাখায় প্রযোজক ও পরিচালক নিয়ামুল মুক্তা পেয়েছেন ‘চলনবিলের মানিক’ সিনেমার জন্য ৫০ লাখ টাকা।
একই শাখায় প্রযোজক রাইদ মোরশেদ ও পরিচালক তাওকীর ইসলাম ‘অদ-ভূত’ চলচ্চিত্রের জন্য পেয়েছেন সমপরিমাণ টাকা।
সমপরিমাণ টাকা পেয়েছেন পিপলু আর খান ও রাসেল রানা তাদের যথাক্রমে ‘নোম্যাডস অব দ্য নর্থ’ এবং ‘কালের যাত্রা’ প্রামাণ্যচিত্রের জন্য।
এ ছাড়া সাধারণ শাখায় ৭৫ লাখ টাকা করে দেওয়া হয়েছে ১৪টি সিনেমার প্রযোজক ও পরিচালককে। তারা হলেন যথাক্রমে প্রযোজক-পরিচালক মির্জা শবনম ফেরদৌসি (মিহিন গাথা), প্রযোজক ও পরিচালক জাহাঙ্গীর হোসেন বাবর (ঠিকানা), প্রযোজক ফজলে হাসান শিশির ও রবিউল আলম রবি (সুরাইয়া), প্রযোজক ও পরিচালক গোলাম মোস্তফা (জয়া), প্রযোজক পিংকি আক্তার ও পরিচালক সঞ্জয় সমাদ্দার (লোভ), প্রযোজক ও পরিচালক এন রাশেদ চৌধুরী (সখী রঙ্গমালা), প্রযোজক মিস শেলী কাদের ও পরিচালক নারগিস আক্তার (জাত), প্রযোজক সুমন পারভেজ ও পরিচালক এ জেড এম মোস্তাফিজুর রহমান বাবু (ময়নার চর), প্রযোজক ও পরিচালক মিশুক মনি (কালবেলা), প্রযোজক মনোজ প্রামাণিক ও পরিচালক ইকবাল হাসান খান (সেয়ানা), প্রযোজক ও পরিচালক গীতালি হাসান (আজিরন), প্রযোজক নিজাম উদ্দিন ও পরিচালক আরিফ সিদ্দিকী (পোস্টমর্টেম), প্রযোজক নূর মনির ও পরিচালক নাসরুল্লাহ মানসুর (হা ঘরে) এবং প্রযোজক ও পরিচালক দেওয়ান নজরুল (মুক্তির চেতনা)র জন্য অনুদান পেয়েছেন।
প্রজ্ঞাপনে নির্মাতাদের ৯ মাসের মধ্যে চলচ্চিত্রগুলো নির্মাণ করতে বলা হয়েছে।
এ জাতীয় আরো খবর..