×
  • প্রকাশিত : ২০২৪-০৬-১২
  • ৫৩ বার পঠিত
গরুতে কানায় কানায় পূর্ণ রাজধানীর পশুর হাটগুলো। একদিকে ক্রেতার উপস্থিতি কম, অন্যদিকে গত বছরের তুলনায় লাখ টাকার গরুতে ২০-২৫ হাজার টাকা বাড়তি দাম হাঁকাচ্ছেন খামারিরা। তাদের দাবি, বছরের ব্যবধানে বেড়েছে খাবারের দাম আর বাড়তি টাকা গুনতে হচ্ছে পরিবহনের জন্য।

রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়িতে তিন দিন আগে ৯টি গরু নিয়ে এসেছেন মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন নামে এক খামারি। তবে এখন পর্যন্ত পাননি কাঙ্ক্ষিত ক্রেতা। তিনি জানান, বুকভরা আশা নিয়ে বিক্রির অপেক্ষা করে যাবেন ঈদের আগপর্যন্ত।

ক্রেতাদের অভিযোগ, ৩ মণ ওজনের একটি গরুর দাম হাঁকানো হচ্ছে ১ লাখ ২০ থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা; যা গত বছর ছিল ১ লাখ ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। আর ৫ মণ ওজনের গরুর দাম চাওয়া হচ্ছে ১ লাখ ৭০ থেকে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত। যদিও এ অভিযোগ মানতে রাজি নন ব্যবসায়ীরা।

একজন গরু বিক্রেতা বলেন, গো-খাদ্যের দাম এখন অনেক বাড়তি। পাশাপাশি এখন পশু পালনেও অতিরিক্ত অনেক খরচ করতে হয়। এছাড়া ঈদ মৌসুমে অতিরিক্ত পরিবহন খরচ তো রয়েছেই।
  
আবদুল্লাহ আল ফাহাদ নামে এক ক্রেতা বলেন, গত বছরের তুলনায় গরুপ্রতি প্রায় ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা বেশি দাম হাঁকাচ্ছেন বিক্রেতারা। এবার মধ্যবিত্তদের জন্য পছন্দমতো গরু পাওয়া কষ্ট হয়ে যাবে।
 
অন্যদিকে খাসিরও বাড়তি দাম হাঁকানো হচ্ছে বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। ১০ কেজি ওজনের খাসির দাম হাঁকানো হচ্ছে ৮ হাজার টাকা আর ৬০ কেজি ওজনের খাসির দাম চাওয়া হচ্ছে ৪০ হাজার টাকা।
 
শামসুল আরেফিন নামের একজন ক্রেতা বলেন, ‘বরাবরের মতো ঈদ এলেই কোরবানির হাটে পশুর দাম বেড়ে যায়। খাসি কিনতে এসেছিলাম, পছন্দসই খাসির জন্য ব্যবসায়ী ও খামারিরা অতিরিক্ত দাম চাইছে। তাই আপাতত না কিনেই চলে যাচ্ছি। এখন আপাতত বাজার-ঘাট দেখে অপেক্ষা করছি।’
 
এছাড়া হাটে শেডের নিচে গরু রাখলেই খামারিদের গুনতে হচ্ছে গরুপ্রতি ১ হাজার টাকা। যদিও তা মানতে রাজি নন ইজারাদাররা।
 
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মানি স্কোয়াড টিমসহ সিভিল পোশাকে কাজ করছে পুলিশ। এ বছর ঢাকায় ২১টি হাট বসেছে; তার মধ্যে ৯টি ঢাকার উত্তর সিটি করপোরেশনে এবং অন্য ১২টি দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat