গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে এসিডে ঝলসে ও ঘরে আগুন দিয়ে স্ত্রী ও ছেলেকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে মো. ওসমান খান নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (৪ জুন) রাত ১টার দিকে মুকসুদপুর উপজেলার গোহালা ইউনিয়নের মুনিরকান্দি গ্রামে দগ্ধ হেলেনা আক্তারের বাবার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
দগ্ধ হেলেনা আক্তার (৩৫) ও ছেলে অন্তরকে (১৩) বুধবার (৫ জুন) রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজের শেখ হাসিনা বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
হেলেনার মামা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোশারফ শেখ জানান, ১৪ বছর আগে একই উপজেলার মোচনা ইউনিয়নের ডুমুরিয়া গ্রামের মো. ওসমান খানের সঙ্গে বিয়ে হয় হেলেনার। প্রথম বিয়ের কথা গোপন রেখেই হেলেনাকে বিয়ে করে ওসমান। প্রথম স্ত্রী থাকা এবং স্বামী মাদকাসক্ত ও বখাটে হওয়ার কারণে ৩ বছর পর বিবাহ বিচ্ছেদ হয় তাদের। পরে শিশু সন্তান অন্তরকে নিয়ে বাবার বাড়িতে চলে যান হেলেনা। তবে সন্তানকে দেখতে মাঝে মধ্যেই ওই বাড়িতে যেতেন ওসমান। ৭ বছর পর পুনরায় বিয়ে হয় তাদের।
তিনি আরও জানান, সম্প্রতি স্ত্রীর কাছ থেকে ব্যবসা করা জন্য টাকা চায় ওসমান। স্ত্রী টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় ৪ জুন রাতে ঘুমিয়ে থাকা স্ত্রী ও সন্তানের গায়ে জানালা দিয়ে এসিড নিক্ষেপ করে এবং ঘরে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে হেলেনা ও তার ছেলে অন্তরের মুখমণ্ডলসহ শরীরের বিভিন্ন স্থান ঝলসে যায়। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরদিন রাতে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়।
মুকসুদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শীতল চন্দ্র পাল জানান, ঘটনাটি জানার পর সিন্দিয়াঘাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শওকত হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ বিষয়ে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। এসিড নিক্ষেপ ও ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়ার ঘটনায় হেলেনার বাবা চুন্নু শেখ একটি লিখিত অভিযোগ করছেন। ঘটনার পর থেকে ওসমান পলাতক রয়েছে।
এ জাতীয় আরো খবর..