পাঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসেওয়ালার খুনের পরপর মৃত্যুর হুমকি পান বলিউড অভিনেতা সালমানের খান। এর পর থেকেই অভিনেতার নিরাপত্তা জোরদার করে তদন্ত শুরু করে মুম্বাই পুলিশ। সে তদন্তে উঠে আসে চমকপ্রদ তথ্য। জানা যায়, কেবল হুমকি দিয়েই শেষ নয়, সালমানকে হত্যা করতে দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করার রাইফেলও কিনেছিলেন অভিযুক্ত লরেন্স বিষ্ণোই। ‘দাবাং’ তারকাকে হত্যা করতে এক ভাড়াটে খুনি দিনের পর দিন তাঁর বাড়ির সামনে ওত পেতে বসে ছিল। নেহাতই ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান তিনি। মৃত্যুর হুমকি পাওয়ার পর থেকেই নিজের গতিবিধি সীমিত করেছেন সালমান। গত দুই মাসে কোনো অনুষ্ঠানে তাঁকে দেখা যায়নি। এমনকি পূর্বনির্ধারিত সূচি থাকার পরও নিজের প্রযোজিত সিনেমার ট্রেলার প্রকাশেও যাননি অভিনেতা। এমনকি চলতি বছর ঈদের দিনেও ঘর থেকে বাইরে বেরোননি সালমান। অন্যান্য বছরের মতো ভক্তদের সঙ্গে দেখা করে শুভেচ্ছা জানাননি। এবার জানা গেল, আত্মরক্ষার জন্য পুলিশের কাছে অস্ত্র রাখার আবেদন করেছেন সালমান। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার বিকেলে মুম্বাই পুলিশ কমিশনার বিবেক পানসলকরের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন সালমান। গাড়িতে করে ক্রফোর্ড মার্কেটের বিপরীতে মুম্বাই পুলিশ সদর দপ্তরে পৌঁছান। সেখানেই সাক্ষাৎ হয় দুজনের। তবে গতকাল নয়, সালমান আগ্নেয়াস্ত্রের জন্য লিখিত আবেদন করেছেন আগেই। গতকাল সে ইস্যুতেই পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
ঘটনার সূত্রপাত গত ৬ জুন। প্রতিদিনের মতো সেদিন সকালেও প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়েছিলেন সালমানের বাবা সেলিম খান। সকালে হাঁটাহাঁটির মাঝে একটু বিশ্রাম নেওয়ার জন্য বেঞ্চে বসে ছিলেন। তখনই কোনো অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির কাছ থেকে উড়ো চিঠি পান সেলিম। সেই চিঠিতে তাঁকে এবং তাঁর ছেলে সালমানকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, পাঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসেওয়ালার মতো হাল হবে তাঁদেরও।
হুমকির চিঠি পাওয়ার পরপরই সেলিম খান বান্দ্রা পুলিশ স্টেশনে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে এফআইআর করেছেন। এরপর ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মুম্বাই পুলিশ। সালমান খানের বাড়ি এবং তাঁর আশপাশের এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেছে তদন্তকারীরা। হুমকির ঘটনায় সিধু মুসেওয়ালার হত্যাকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইকেই সন্দেহ করা হচ্ছে। এর আগে কৃষ্ণসার হরিণ-কাণ্ডে সালমানকে হুমকি দিয়েছিলেন এই লরেন্সই।
এ জাতীয় আরো খবর..