বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন ও ত্রাণ বিতরণকালে সংসদীয় কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যত দিন প্রয়োজন তত দিন ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম চলবে। বন্যাপরবর্তী ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে আন্ত মন্ত্রণালয় বৈঠকের মাধ্যমে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে অতি দ্রুত সমাধানের ব্যবস্থা করা হবে।
শনিবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যগণ বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন ও ত্রাণ বিতরণ করেন। তারা সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা উপজেলার সাম্প্রতিক বন্যা পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও বন্যাদুর্গতদের পুনর্বাসন বিষয়ক মতবিনিময়সভায় মিলিত হন।
সভায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান, কমিটির সভাপতি এ বি তাজুল ইসলাম ও সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া কমিটির বিশেষ আমন্ত্রণে অংশ নেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন ও মুহিবুর রহমান মানিক।
সভায় প্রতিমন্ত্রী বলেন, বন্যায় অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ফসল, রাস্তাঘাট, স্কুল ও ঘরবাড়ি বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কমপক্ষে আরো দুই সপ্তাহ, এমনকি প্রয়োজন হলে এর পরও ত্রাণ কার্যক্রম চলবে। এ সময়ে নগদ অর্থ, চাল ও শুকনা খাবার চাহিদা অনুযায়ী প্রদান করা হবে। এ ছাড়া বন্যা প্লাবিত বিভিন্ন এলাকায় বন্যাপরবর্তী দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় নিরাপদ পানি নিশ্চিতকল্পে প্রয়োজনীয় সংখ্যক টিউবওয়েল, ঘরবাড়ি মেরামতের টিন, স্কুলঘর মেরামত এবং পানিবাহিত রোগ প্রতিরোধে ওষুধ প্রদান করা হবে।
সংসদীয় কমিটির সভাপতি এ বি তাজুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী প্রতিটি মানুষের জীবন মান একটি আদর্শ পর্যায়ে নিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর। তিনি ইতিমধ্যে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের জন্য প্রতিটি মন্ত্রণালয়কে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে নির্দেশ দিয়েছেন। পরবর্তী সংসদীয় কমিটির বৈঠকে বিষয়গুলো আলোচনা করে পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার সম্ভাব্য সমাধান দেওয়া হবে।
এ জাতীয় আরো খবর..