×
  • প্রকাশিত : ২০২২-০৭-০১
  • ৭৫ বার পঠিত
এই উইকেটে ইতিবাচক ক্রিকেট না খেলে উপায় নেই। দ্বিতীয় দিনে অস্ট্রেলিয়া ৪ এর ওপর রান রেটে ব্যাটিং করে সেটাই দেখিয়েছে। দিনের প্রথম দুই ওভারে অস্ট্রেলিয়ার শেষ ২ উইকেট তুলে নিয়ে শ্রীলঙ্কাও সে পথে এগোতে চেয়েছিল। মিচেল স্টার্কের প্রথম বলেই চার। ওভারের শেষ তিন বলে তো চারের হ্যাটট্রিকই হলো। ১০৯ রানে পিছিয়ে থাকা স্বাগতিক দলের শুরুটা হয়েছিল দুর্দান্ত। কিন্তু গলের উইকেটে স্পিনারদের সঙ্গে লড়াইটা জমাতে পারেননি লঙ্কানরা। 

অস্ট্রেলিয়ার তিন স্পিনার মিলে দ্বিতীয় ইনিংসে লঙ্কানদের গুটিয়ে দিয়েছেন ১১৩ রানে। টেস্ট জিততে মাত্র ৫ রান দরকার ছিল অস্ট্রেলিয়ার। রমেশ মেন্ডিসের তৃতীয় বলে চার মেরে পরের বলে ছক্কায় আনুষ্ঠানিকতা শেষ করেছেন ডেভিড ওয়ার্নার। ১০ উইকেটের এ জয় নিশ্চিত করল, অন্তত এবার শ্রীলঙ্কা থেকে টেস্ট সিরিজে হার সঙ্গী হচ্ছে না অস্ট্রেলিয়ার।

গতকাল আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে দলের লিড এক শ পার করিয়েছিলেন প্যাট কামিন্স। তাঁর সঙ্গী ছিলেন নাথান লায়ন। আজ লিড ১১ বলের মধ্যে অলআউট হওয়ার আগে লিড আরও ৮ বাড়িয়ে নিয়েছিলেন তাঁরা। লায়নের দায়িত্ব অবশ্য মাত্র শুরু হয়েছিল তখন। গলের উইকেট স্পিনারদের জন্য সব উজাড় করে দিচ্ছিল, লায়নও সেটা গ্রহণ করেছেন দুহাত বাড়িয়ে। 

স্টার্কের প্রথম ওভারেই ১৭ রান তুলে ফেলা শ্রীলঙ্কা আগ্রাসী মানসিকতায় প্রথম ৪ ওভারে ৬টি চার পেয়েছে। ৫ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার রান ছিল ৩৭। এমনিতেই এই উইকেটে আর পেসারদের আর কিছু দেওয়ার ছিল না। প্রথম ওভারে স্টার্ককে অমন পিটুনি খেতে দেখে কামিন্স আর নিজেকে বোলিংয়ে আনেননি। বল তুলে দিয়েছেন লায়নের হাতে। পঞ্চম ওভারে অন্য প্রান্তেও স্পিনার, লেগ স্পিনার মিচেল সোয়েপসন।

ষষ্ঠ ওভারে প্রথম লায়নের আঁচড় পড়ল শ্রীলঙ্কার লাইনআপে। সুইপ করতে গিয়ে উইকেটকিপারের কাছে ধরা পড়লেন দিমুথ করুনারত্নে (২৩)। তখন কে জানত, এটাই হবে ইনিংস সর্বোচ্চ! বিনা উইকেটে ৩৭ একটু পর ২ উইকেটে ৩৯ হলো পাতুম নিসাঙ্কার বিদায়ে। দুই প্রান্তে দুই ওপেনারের বিদায়ের পরও ইতিবাচক থেকে আক্রমণাত্মক খেলার চেষ্টা করেছে শ্রীলঙ্কা। ২ উইকেটে ৫৯ রান পর্যন্ত দলকে নিয়ে গিয়েছিলেন ওশাডা ফার্নান্দো ও কুশন মেন্ডিস। আরেকটি সুইপ; এ মেন্ডিসের বিদায়, বোলার সেই লায়ন। প্রথম ও দ্বিতীয় উইকেটের মতো তৃতীয় ও চতুর্থ উইকেটের পতনেও মিল। পরের ওভারেই সোয়েপসনে ফেরালেন ফার্নান্দোকে। 

 ৬৩ রানে চতুর্থ উইকেট হারানোর পর আবার কিছুটা বিরতি। দীনেশ চান্ডিমাল ও ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার জুটি ৩২ রান এনে দেওয়ার পর কামিন্স একটু অন্য কিছু করতে চাইলেন।

ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে ট্রাভিস হেডকে নিয়ে অনিশ্চয়তায় ছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু সুস্থ হয়েছেন, এটা নিশ্চিত হতেই তাঁকে দলে নিয়েছে সফরকারী। সেটা অবশ্য ব্যাটিংয়ের জন্য। কিন্তু আজ হেড অবদান রাখলেন বল হাতে। টেস্ট ক্যারিয়ারে আগে কখনো উইকেট না পাওয়া হেড আজ নিজের দ্বিতীয় বলেই বোল্ড করলেন চান্ডিমালকে। পঞ্চম বলে ধনাঞ্জয়া হলেন এলবিডব্লু। স্পিনিং উইকেটে হেডের বল ধন্দে ফেলে দিচ্ছিল স্বাগতিক দলের ব্যাটসম্যানদের। 

নিজের তৃতীয় ওভারে আবার জোড়া উইকেট হেডের। মাঝে রমেশ মেন্ডিস ও নিরোশান ডিকভেলাকে লায়ন আগেই তুলে নেওয়ায় মাত্র ২২.৫ ওভারে অলআউট শ্রীলঙ্কা। ৩১ রানে ৪ উইকেট লায়নের। যদিও হেডের পাশে তাঁর বোলিং ফিগার পাত্তাই পাচ্ছে না। মাত্র ১৭ বল করে ১০ রানে ৪ উইকেট এই অফ স্পিনারের। 

স্পিনারদের দাপটের মাঝেও ম্যাচ সেরা এক পেস বোলিং অলরাউন্ডার। এমন উইকেটে অস্ট্রেলিয়াকে এক শর বেশি লিড এনে দেওয়ার কারিগর ক্যামেরন গ্রিন তাঁর ৭৭ রানের ইনিংসে পেয়েছেন সে পুরস্কার। আগামী ৮ জুলাই একই ভেন্যুতে হবে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat