দীর্ঘ এক যুগের সম্পর্কটা শেষ হয়ে গেছে। দুজনের দুটি পথ গেছে দুদিকে বেঁকে। বার্সেলোনা তারকার সঙ্গে পপতারকা শাকিরার সম্পর্কটা শেষ হয়েছে বিশ্বাসভঙ্গের কারণে। শাকিরার অগোচরে অন্য নারীর সঙ্গে সম্পর্ক রেখেছিলেন পিকে—এমন অভিযোগে সমাপ্তি ঘটেছে সম্পর্কের। কোনো দিন বিয়ে করেননি, তবে ভালোবাসাবাসির নিদর্শন রেখেছেন দুই সন্তানের বাবা-মা হয়ে। একসময় মনে করা হতো, কতই না সুখী তাঁরা। কিন্তু সম্পর্কটা যে এভাবে শেষ হবে, সেটি ছিল অন্তত পিকে-শাকিরা ভক্তদের জন্য ছিল বড় ধাক্কাই।
শাকিরার সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদের খেসারত দিচ্ছেন এখন পিকে। মানসিক খেসারত তো আছেই, অন্য খেসারতও দিতে হচ্ছে তাঁকে। সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে অনুসারী হারিয়েছেন ৫০ লাখ। এবার ‘মার্কা’ খবর দিল, শাকিরার দেশ কলম্বিয়ায় তাঁকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
পিকের যেখানে অনুসারী কমেছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শাকিরার অনুসারীর সংখ্যা উল্টো বেড়েছে। পপতারকার জন্মস্থান বারাঙ্কিয়ায় আবেগটা একটু বেশিই। সেখানেই শাকিরার অনুসারীর সংখ্যা বাড়ছে গড়ে ৩ লাখ করে। সেখানেই একটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত এক লেখায় নিজেদের মেয়ে শাকিরার সঙ্গে প্রতারণা করায় স্পেনের হয়ে বিশ্বকাপ ও ইউরো জেতা তারকা পিকেকে কলম্বিয়ায় ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপের সেই বিখ্যাত ‘ওয়াকা ওয়াকা’ গানের শুটিংয়ের সময় দেখা হয়েছিল দুই জগতের দুই তারকার। সেখান থেকেই প্রেমের সম্পর্ক। এক যুগের এই সম্পর্ক কখনোই বিয়েতে গড়ায়নি। অবশ্য বিয়ে না করার পেছনে দুজনের পরিষ্কার যুক্তিও ছিল। তাঁরা মনে করতেন, বিয়ের বন্ধন হয়তো দুজনের সম্পর্কে একটু হলেও তিক্ততা এনে দেবে। সে কারণে চিরদিনের ‘প্রেমিক-প্রেমিকা’ হয়েই থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু সেই সম্পর্কই কিনা শেষ হলো অবিশ্বাস আর সন্দেহের মধ্য দিয়ে।
দুজনের বিচ্ছেদ স্বীকার করে শাকিরার হয়ে তাঁর জনসংযোগ প্রতিষ্ঠান এক বিবৃতিতে লিখেছে, ‘আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার আমাদের দুই সন্তান। এদের ভালোর জন্যই আমি নিজের মতো করে থাকতে চাই। এ ব্যাপারে সবার সহযোগিতা কাম্য।’
লাতিন আমেরিকার সবচেয়ে জনপ্রিয় সংগীত তারকাই বলা হয় শাকিরাকে। তাঁর যেকোনো মিউজিক ভিডিও ইউটিউবে দর্শকসংখ্যায় কোটি ছাড়িয়ে যায় অনায়াসেই। ‘গানের রানি’র সাম্প্রতিক মিউজিক ভিডিও ‘তে ফেসিলিতো’ দর্শকসংখ্যা ১০০ মিলিয়ন ছাড়িয়ে গেছে।
এ জাতীয় আরো খবর..