চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণে উদ্ধার ও আগুন নিয়ন্ত্রণে অভিযানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৫০ সদস্যের একটি বিশেষ টিম কাজ করছে। এ ছাড়া সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার এবং নিরাপত্তা দলও নিয়োজিত রয়েছে। রাসায়নিক দ্রব্যাদির বিস্ফোণের কারণে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত রাসায়নিকসামগ্রী সমুদ্রে ছড়িয়ে পড়া রোধে দলটি কাজ করছে।
শনিবার দিবাগত রাতে বিস্ফোরণের পরপরই সেখানে আহতদের চিকিৎসাসেবা দিচ্ছে সেনাবাহিনীর মেডিক্যাল টিম।
আহতদের চট্টগ্রাম মেডিক্যাল ও সিএমএইচে স্থানান্তরে সেনাবাহিনী অ্যাম্বুল্যান্স সহায়তা করছে। এ পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের ১৪ জন সদস্যসহ চট্টগ্রাম সিএমএইচে ১৫ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৩ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া আহত হয়েছে কয়েক শতাধিক। আরো অসংখ্য লাশ পাওয়া যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার নুরুদ্দিন রাশেদ বলেন, ‘শনিবার সারা রাত এবং আজ এখন পর্যন্ত আমরা সেবা দিয়ে চলেছি। দুপুর পর্যন্ত মৃতর সংখ্যা বেড়ে ৪৩ জনে দাঁড়িয়েছে। ’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘আমি শুধু লাশের পর লাশ গুনে চলেছি। এখন পর্যন্ত ৪৩ জনের লাশ পেয়েছি আমরা। বেশির ভাগেরই পরিচয় মেলেনি। আরো অসংখ্য লাশ পাওয়া যাবে বলে আমরা আশঙ্কা করছি। ’
এর আগে গতকাল শনিবার রাতে বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসংলগ্ন সীতাকুণ্ডের শীতলপুর এলাকায় ৭০ কানি জায়গার ওপর কনটেইনার ডিপোটি অবস্থিত।
এ জাতীয় আরো খবর..