দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে গমের দাম কেজিতে ৫ টাকা কম হওয়ায় স্বস্তি ফিরে এসেছে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মাঝে।
ফুলবাড়ী বিভিন্ন পাইকারি ও খুচরা গম ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং গত ১৩ মে বাংলাদেশে গম রপ্তানি বন্ধের ভারত সরকারের ঘোষণায় বিরুপ প্রভাব দেখা দেয় স্থানীয় গমের বাজারে। এতে করে ৩৪ টাকা কেজি দরের গম বেড়ে দাম হয় ৪১ টাকা। এর প্রভাবে আটারও দাম বেড়ে অস্বাভাবিকভাবে। ত ২৯ মে থেকে পুরনো এলসির গম হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকতে শুরু করায় এর প্রভাবে কমতে থাকে গমের দাম। আমদানিকৃত ভারতীয় গমের পাশাপাশি দেশি গমেরও দাম কমে গেছে। বর্তমানে প্রকার ভেদে ৪১ টাকা কেজির গম বেচাবিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৩৬ থেকে ৩৭ টাকা কেজি দরে।
স্থানীয় মুদি খুচরা ব্যবসায়ী কপিলা পাল বলেন, গমের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে আটার দাম বেড়ে যায়। এতে করে আটার বেচাকেনা অনেকাংশেই কমে যায়। এতে ব্যবসার অনেক ক্ষতি হয়েছে। দাম কমে আসায় আবার আগের মতো স্বাভাবিক বেচাকেনা হবে আটার।
স্থানীয় ময়দা মিল বৈশাখী ফ্লাওয়ার মিলের স্বত্বাধিকারী সম্ভু প্রসাদ কানু বলেন, গমের অভাবে ময়দা উৎপাদন নিয়ে কয়দিন আগে দুশ্চিন্তায় পড়েছিলেন। কিন্তু গম আমদানি স্বাভাবিক হওয়ায় সেই দুশ্চিন্তা কেটে গেছে। গমের দাম কমে আসায় তিনিও স্বস্তি প্রকাশ করেন।
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে গম আমদানিকারক রবিউল ইসলাম সুইট বলেন, গত ২৯ মে থেকে গম আমদানি শুরু হয়। যার কারণে প্রতি কেজিতে দাম কমে গেছে ৪ থেকে ৫ টাকা। বর্তমানে ভারতীয় গম আমদানিকারকরা বিক্রি করছেন ৩৬ থেকে সাড়ে ৩৬ টাকা কেজি দরে।
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে গম আমদানিকারক মেসার্স ডায়মন্ড এন্টারপ্রাইজের প্রতিনিধি সঞ্জিত জয়সোয়াল জানান, গম আমদানি শুরু হওয়ায় ৭ ট্রাকে ৩০০ মেট্রিক টন গম আমদানির প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই ৫টি গম বোঝাই ট্রাক স্থলবন্দরে এসে পৌঁছেছে। অন্য দু’টি ট্রাক দু-একদিনের মধ্যে চলে আসবে।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ হারুন বলেন, আমদানিকারকদের পুরনো অনেক গমের এলসি করা আছে। যদি পুরনো এলসির গমগুলো এ বন্দরে ঠিকমতো প্রবেশ করলে গমের দাম আরো কমে আসবে।
হিলি পানামা পোর্ট লিংকের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন প্রতাব মল্লিক বলেন, ২৯ মে থেকে এ বন্দরে আবারও গম আমদানি শুরু হয়েছে। বন্দরে গম বোঝাই গাড়িগুলো প্রবেশ করছে। তা বন্দর এবং কাস্টমসের সকল প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করে দ্রুত ছাড় দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যাতে করে গমগুলো খোলা বাজারে যেতে পারে, তাহলে খোলা বাজারে দাম কমে আসবে।
এ জাতীয় আরো খবর..