নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, 'আমরা এখন নদী ও নৌপথ নিয়ে চিন্তাভাবনা করছি। কিন্তু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ দেশের সমুদ্র, নদ-নদী, নৌপথ এবং নৌপরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়নের প্রথম পথপ্রদর্শক। '
বৃহস্পতিবার সদরঘাটে বুড়িগঙ্গা নদীতে দেশব্যাপী নৌ নিরাপত্তা সপ্তাহ-২০২২-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, 'নদীমাতৃক বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে নদীসমূহকে দূষণের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে এবং পাশাপাশি নদী দখলদারদের বিরুদ্ধে সামাজিকভাবেও সোচ্চার ও কঠোর হতে হবে।
এ ক্ষেত্রে বর্তমান সরকার জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। হাইকোর্ট নদ-নদী দখলকারী ব্যক্তিকে দেশের সব ধরনের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করেছে। একই সঙ্গে দেশের কোনো ব্যাংক থেকে ঋণ পাওয়ারও অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে। দেশের ভাবমূর্তি ও উন্নয়ন সমুজ্জ্বল রাখার জন্য নিরাপদ এবং দুর্ঘটনামুক্ত নৌ চলাচল ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রয়াসে আমরা সকলেই যে যার অবস্থান থেকে কাজ করে যাব। '
তিনি বলেন, এ বছর 'প্রশিক্ষিত জনবল ও নিরাপদ জলযান, নৌ নিরাপত্তায় রাখবে অবদান' প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে দেশব্যাপী নৌ নিরাপত্তা সপ্তাহ শুরু হয়েছে। আগামী ২৫ মে পর্যন্ত এ দিবস চলবে।
অনুষ্ঠানে নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমোডর এ জেড এম আলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, বিআইডাব্লিউটিসির চেয়ারম্যান আহমেদ শামীম আল রাজী ও বিআইডাব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেক প্রমুখ বক্তব্য দেন।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল (যাপ) সংস্থার সাবেক প্রধান উপদেষ্টা গোলাম কিবরিয়া টিপু, বাংলাদেশ কার্গো ভেসেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান উপদেষ্টা ও মাদারীপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুনির চৌধুরী, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল (যাপ) সংস্থার সভাপতি মাহবুব উদ্দিন আহমদ, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ট্যাংকার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি খন্দকার মশিউজ্জামান রোমেশ, বাংলাদেশ কার্গো ভেসেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল হক, বাংলাদেশ লঞ্চ মালিক সমিতির সহসভাপতি সহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ জাতীয় আরো খবর..