ইউক্রেন যুদ্ধের সমাপ্তি নিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে মঙ্গলবার ক্রেমলিনে মার্কিন আলোচকদের পাঁচ ঘণ্টা যাবৎ বৈঠক হয়েছে। পুতিনের সহকারী ইউরি উশাকভ বলেছেন, মার্কিন দূত স্টিভ উইটকফ এবং প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনারের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকটি গঠনমূলক ছিল তবে সামনে অনেক কাজ বাকি।
গত দুই সপ্তাহ ধরে কিয়েভের প্রতিনিধিদের সঙ্গে একই ধরনের আলোচনার পর মস্কো গেছেন মার্কিন দূতরা। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেছেন যে, তিনি এই বৈঠকের পরে মার্কিন প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে একটি ব্রিফিং আশা করছেন। তিনি বলেন, এখন আগের চেয়েও বেশি যুদ্ধ শেষ করার সুযোগ রয়েছে, তবে প্রস্তাবগুলো নিয়ে এখনও কাজ করা প্রয়োজন।
আজকের আলোচনার উপর সবকিছু নির্ভর করছে, আয়ারল্যান্ডে ডাবলিনে সরকারি সফরের সময় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন জেলেনস্কি।
নভেম্বরে ২৮ দফা শান্তি পরিকল্পনার বিষয়টি সামনে আসার পর এ নিয়ে দুইবার মার্কিন আলোচকদের সাথে দেখা করেছেন কিয়েভের প্রতিনিধিরা, যার মধ্যে উইটকফ, কুশনার এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও রয়েছেন।
এই আলোচনায়, প্রায় চার বছর আগে ইউক্রেন আক্রমণকারী রাশিয়ার চাহিদাগুলোও সামনে আসার বিষয়টি ইউক্রেন এবং ইউরোপকে হতবাক করেছে।
সপ্তাহের ব্যবধানে ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনার পর, হোয়াইট হাউস বলেছে যে প্রস্তাবগুলো অনেক পরিমার্জিত করা হয়েছে, যদিও হালনাগাদ করা পরিকল্পনার বিস্তারিত এখনও নিশ্চিত করা হয়নি।
মস্কো এবং কিয়েভের মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মতবিরোধ এখনও রয়ে গেছে- যেমন রাশিয়ার আংশিক নিয়ন্ত্রণাধীন অঞ্চলগুলোর উপর ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব এবং নিরাপত্তার নিশ্চয়তা।
মঙ্গলবার জেলেনস্কি বলেন, কোনও সহজ সমাধান নেই।
তিনি নিজের দেশের দাবিগুলো পুনরাবৃত্তি করে বলেন, কিয়েভ শান্তি আলোচনায় অংশ নেবে এবং নেটো সদস্যপদ সহ স্পষ্ট নিরাপত্তা নিশ্চয়তা চাইবে। দীর্ঘদিন ধরে যার বিরোধিতা করে আসছে রাশিয়া। ট্রাম্পও তা প্রত্যাখ্যান করেছেন।
আমাদের এমনভাবে যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে যাতে এক বছরের মধ্যে রাশিয়া ফিরে না আসে, জেলেনস্কি আরও বলেন।