ডলারের সংকট কাটাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নানান পদক্ষেপের সুফল আসতে শুরু করেছে। যার প্রভাবে কমতে শুরু করেছে ডলারের দাম।
রোববার কার্ব মার্কেট বা খোলা বাজারে নগদ ডলারের দাম ১১২ থেকে ১১৪ টাকায় নেমে এসেছে। গত বৃহস্পতিবারও এক ডলার কিনতে গ্রাহকদের গুনতে হয়েছিল ১১৮ থেকে ১২০ টাকা। অর্থাৎ তিন দিনের ব্যবধানে খোলা বাজারে ডলারের দাম কমেছে ৬ থেকে ৮ টাকা।
গত কয়েকদিন দেশের ডলারের বাজার চরম অস্থিতিশীল অবস্থা পার করেছে। এ সংকট কাটিয়ে উঠতে রিজার্ভ থেকে ডলারের যোগান দিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এমন সংকটের মধ্যেই ব্যাংকারসহ অনেকে জড়িয়ে পড়েছেন ডলার কারসাজিতে। অনেকে আবার প্রয়োজন ছাড়াই ডলার কিনে জমা করছেন, যাতে বাজারে কৃত্রিম সংকট আরও প্রকট হয়ে উঠছে।
সাম্প্রতিক সময়ে ডলারের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শক দল মানি চেঞ্জার্স প্রতিষ্ঠানগুলোতে তদন্ত করে। তারা প্রতিষ্ঠানগুলোর ডলার বিক্রি ও কেনার তথ্য সংগ্রহ করে সেগুলো পর্যালোচনা করে ওই ৩টি প্রতিষ্ঠানে বড় ধরনের অনিয়ম পেয়েছে। এ কারণে তাদের সব ধরনের ব্যবসায়িক কার্যক্রম স্থগিত করেছে। বেআইনি কর্মকাণ্ডের জন্য কেন তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হবে না এ মর্মে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে।
গোয়েন্দারা বাজার থেকে বেআইনিভাবে ডলার কিনে যারা মজুত করেছেন তাদের খুঁজছেন। এজন্য মানি চেঞ্জার্স প্রতিষ্ঠান থেকে ডলার কেনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের তালিকাও সংগ্রহ করেছেন।
এছাড়া ডলার মজুত ও বেআইনিভাবে কেনাবেচার দায়ে আরও ২টি মানি চেঞ্জার্স প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ বিষয়ে আজ-কালের মধ্যে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে চিঠি দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তদারকিতে বাজারে ডলারের সরবরাহ বেড়েছে। বাড়তি মুনাফার আশায় যারা বেআইনিভাবে ডলার মজুত করেছিলেন, তারা এখন সেগুলো বিক্রি করতে শুরু করেছেন। ফলে ব্যাংক ও মানি চেঞ্জার্স প্রতিষ্ঠানগুলোয় ডলারের প্রবাহ বেড়ে গেছে। দামও কিছুটা কমে এসেছে। খোলাবাজারের ডলার ব্যাংকমুখী করতে ব্যাংক ও খোলাবাজারের মধ্যকার ডলারের দামের ব্যবধান বেশ কমেছে।
এ জাতীয় আরো খবর..