পূর্ব ইউক্রেনে আবারও সেনা অভিযান জোরদার করেছে রুশ বাহিনী। অঞ্চলটিতে ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনীর অবস্থান লক্ষ করে দফায় দফায় গোলাবর্ষণের খবর পাওয়া গেছে। এসব হামলায় ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর বেশ কয়েকটি ঘাঁটি ও অস্ত্রাগার পুরোপুরি ধ্বংসের দাবি করেছে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। অন্যদিকে, পুতিন বাহিনীকে প্রতিহত করতে দক্ষিণাঞ্চলীয় খেরসনে পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইউক্রেনীয় সেনারা।
ইউক্রেনের পরমাণু কেন্দ্র ও রাশিয়ার বিমানঘাঁটিতে পাল্টাপাল্টি হামলাকে কেন্দ্র করে কয়েক দিন ধরেই উত্তেজনার পারদ ছড়াচ্ছে মস্কো ও কিয়েভ। সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, শুক্রবার (১২ আগস্ট) পূর্ব ইউক্রেনের একাধিক সামরিক অবস্থান লক্ষ্য করে দফায় দফায় হামলা চালায় রুশ বাহিনী। হামলা চালানো হয় উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় খারকিভেও। এসব হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া রাডার সিস্টেম ও বেশ কয়েকটি হিমার্স ক্ষেপণাস্ত্র গুঁড়িয়ে দেয়ার দাবি করেছে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
অন্যদিকে, রুশ বাহিনীকে প্রতিহত করতে দক্ষিণাঞ্চলীয় খেরসনে পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইউক্রেনীয় সেনারা। কিয়েভ জানায়, অঞ্চলটিতে রুশ সামরিক বাহিনীর একটি বিশাল অস্ত্রাগার লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ করা হলে সেটি পুরোপুরি ধ্বংস করতে সক্ষম হয় ইউক্রেনের আর্টিলারি ইউনিট। শুধু তাই নয়, গোটা দক্ষিণাঞ্চলে রুশ বাহিনীর অস্ত্র সরবরাহ ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে নেয়ার দাবিও করা হয়।
এর মধ্যেই ইউক্রেনে সেনা অভিযানের ভবিষ্যৎ ও করণীয় ঠিক করতে রাশিয়ার শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এ সময় অভিযানের সবশেষ অগ্রগতি ও পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়েও আলোচনা হয় বলে জানা গেছে।
এদিকে, সেনা অভিযানের জেরে এবার রুশ নাগরিকদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারির ইঙ্গিত দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
এক ভিডিওবার্তায় তিনি বলেন, গোটা ইউরোপকে ‘সুপার মার্কেটে’ পরিণত করে গণহারে সব দেশের নাগরিককে ভিসা দেয়া থেকে সরে আসতে হবে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে।
এ জাতীয় আরো খবর..