×
  • প্রকাশিত : ২০২২-০৮-১৩
  • ৮৩ বার পঠিত
সারা বিশ্বে জ্বালানিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ফলে বাংলাদেশেও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, এই নেতিবাচক প্রভাব কাটিয়ে উঠতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তরিকভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

আজ শনিবার মহিলা শ্রমিক লীগ আয়োজিত এক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সারা বিশ্বের সংকটে আজ বাংলাদেশেও একটা নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। সারা বিশ্বেই জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা জানি, বাংলাদেশের জনগণের কষ্ট হচ্ছে। আমরা বলতে পারি, এই সংকট কাটিয়ে উঠতে সরকারের চেষ্টার কোনো ত্রুটি নেই। ’

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘুম নেই। তিনি আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছেন। শেখ হাসিনার ঘুম হারাম হয়ে গেছে, কিভাবে মানুষের একটু স্বস্তি দেওয়া যায় সে চেষ্টা তিনি করে যাচ্ছেন। ’

বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এই সংকটকে কেন্দ্র করে ফ্রান্সের বিরোধী দলের সরকার উৎখাতের বিক্ষোভ হয়নি, যুক্তরাষ্ট্রে বিরোধী দলের সরকার উৎখাতের বিক্ষোভ হয়নি। জার্মানিতে সরকারের বিরুদ্ধে প্রটেস্ট হয়নি, জাপানে বিক্ষোভ করেনি। আমরা সহযোগিতা চেয়েছিলাম। সারা বিশ্ব সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। আর বাংলাদেশে তারা সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করছে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, 'তারা মিছিল করুক'। যখন মিছিল, মিটিং করতে পারছে তখন তারা বলছে, বিদেশিদের চাপে সরকার মিছিল করতে দিচ্ছে। আমি বলব বিদেশি শক্তির কাছে আমরা মাথানত করি না। মাথানত করার লোক শেখ হাসিনা নন। কারো কাছে আমরা মাথানত করি না।

বিএনপির উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, আগুন নিয়ে খেলতে আসবেন না। শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করুন। কিন্তু আগুন সন্ত্রাস নিয়ে যদি নামতে চান তাহলে বলব, জনতার প্রতিরোধ সুনামিতে পরিণত হবে। জবাব দেওয়া হবে।

দলীয় নেতাকমীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমাদের নেতাকর্মীদের বলব প্রত্যেকে কথাবার্তায় আচার-আচরণে সংযত হতে হবে। এ সময় দায়িত্বহীন কথাবার্তা বলা সঠিক নয়। ক্ষমতার দাপট দেখানো সমীচীন নয়। ঠাণ্ডা মাথায় কথা বলতে হবে, মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে।

বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গ তুলে ধরে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনিরা থাইল্যান্ডে নিরাপদে পালিয়ে যায়, কে তাদের পাঠিয়েছিল? জিয়াউর রহমান খুনিদের অন্যান্য দেশে পাঠিয়েছিল, চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করেছিল। মোশতাকের দেওয়া ইনডেমনিটি অর্ডিনেন্স পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে জিয়াউর রহমান আইনে পরিণত করেছিল, যাতে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার না হয়। এ ইতিহাস ভুলে গেলে চলবে না। বিএনপির সঙ্গে আমাদের শত্রু না। আবার ইতিহাস বলে তারাই আমাদের সঙ্গে শত্রুতা করেছে। বারবার তারা শত্রুতা করেছে।

মহিলা শ্রমিক লীগের সভাপতি সুরাইয়া আক্তারের সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় আরো বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, সংগঠনের সহসভাপতি শামসুর নাহার ভুইয়া, সাধারণ সম্পাদক রহিমা আক্তার সাথী প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat