জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে নয়াপল্টনে অনুষ্ঠিত বিএনপির সমাবেশে যোগ দেওয়া দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানা (ঢাকা-৩) বিএনপি নেতাকর্মীরা হামলা শিকার হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার বিকেল সোয়া তিনটার দিকে সমাবেশ চলাকালে ছাত্রদল পশ্চিমের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল ইসলাম নয়নের নেতৃত্বে এই হামলা হয়েছে বলে ঢাকা জেলা কেরাণীগঞ্জ দক্ষিণের নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেছেন। হামলায় ঢাকা জেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব পাভেল মোল্লা, ঢাকা জেলা তাঁতী দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ হীরা হোসেন, যুবদল নেতা বাদল হোসেন, বিএনপির নেতা আল আমিনসহ দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
জানতে চাইলে নিপুণ রায় চৌধুরী বলেন, সমাবেশে যোগ দিতে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থেকে কয়েক হাজার নেতাকর্মী সকাল নয়টার মধ্যে ঢাকায় আসেন।
তারা শান্তিপূর্ণভাবে নির্ধারিত স্থানে অবস্থান নেন। কিন্তু কোনো কারণ ছাড়াই তাদের নেতাকর্মীর ওপর হামলা করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের নেতাকর্মীদের পাশে নির্ধারিত স্থানে বিশাল একটি মিছিল নিয়ে অবস্থান নেন ঢাকা মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক গোলাম মাওলা শাহীন ও সদস্যসচিব এনামুল হক এনাম। এর কিছুক্ষণ পর হাতে গোনা ১৫-২০ জন নেতাকর্মী নিয়ে সেখানে হাজির হন রবিউল ইসলাম নয়ন। কেরানীগঞ্জ দক্ষিণের নেতাকর্মীদের তুলে দিয়ে বসতে চান। এক পর্যায়ে কেরানীগঞ্জের এককর্মীর মোবাইল ফোন ভেঙে ফেলেন নয়ন।
এ সময় কেরানীগঞ্জ দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় থামাতে গেলে নয়নসহ তার সাথে থাকা নেতাকর্মীরা তার ওপরও চড়াও হন। কেরানীগঞ্জের নেতাকর্মীদের মারধর করে। এক পর্যায়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের নেতাকর্মীরা নয়নকে ধরে উত্তম মধ্যম দেয়। পরিস্থিতি খারাপ দেখলে যুবদলের কেন্দ্রীয় এক নেতার হস্তক্ষেপে স্থান ত্যাগ করেন নয়ন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আহত নেতাকর্মীরা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের নির্বাচনী এলাকার। সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় তার নির্বাচনী এলাকার নেতাকর্মীদের ওপর হামলার সাংগঠনিক শাস্তি দাবি করেন।
এ জাতীয় আরো খবর..