সরকার পুলিশ দিয়ে আন্দোলন দমানোর পাঁয়তারা করছে বলে অভিযোগ করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ সোমবার (১ আগস্ট) বেলা ১১টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ভোলায় পুলিশের গুলিতে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা নিহত আবদুর রহিমের স্মরণে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজার আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব এই অভিযোগ করেন। এতে বিএনপির মহানগর ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকার পুলিশ দিয়ে গুলিবর্ষণ করে জানান দিয়ে দিয়েছে যে তারা পুলিশ দিয়ে নির্যাতন করে এই আন্দোলনকে দমন করতে চায়। কিন্তু ভোলার মানুষের রক্তের মধ্য দিয়ে এটা প্রমাণিত হয়েছে, এ দেশের মানুষ কখনো ফ্যাসিবাদী সরকার, আওয়ামী লীগ সরকারের দমননীতিকে মেনে নেবে না। ’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘তারা দেশকে মুক্ত করবার জন্য, দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবার জন্য জীবন দিয়ে হলেও, রক্ত দিয়ে হলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে। আমরা আবদুর রহিমের রক্তকে বৃথা যেতে দিতে পারি না। তাই এই শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করতে হবে। তার এই রক্ত যাওয়া, তার এই আত্মাত্যাগকে আমাদের ধারণ করে সামনের দিকে এগিয়ে আরো গতিশীল হয়ে, আরো দুর্বার হয়ে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই সরকারকে পরাজিত করতে হবে। ’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘পুলিশের গুলিতে আমার গণতান্ত্রিক ভাইদের রক্ত ঝরেছে, রক্ত ঝরেছে ভোলায়। ভোলায় শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পুলিশ গুলিবর্ষণ করেছে। সেখানে স্বেচ্ছাসেবক দলের ভাই আবদুর রহিমকে হত্যা করেছে। কেন্দ্রীয় নেতা এ বি এম মোশাররফ হোসেনসহ ১০০ জনের ওপর নেতাকর্মীকে গুলি করে আহত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এটা ছিল একটা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি। বিদ্যুতের দাবিতে সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ছিল। সেই সমাবেশে শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারের পুলিশ দিয়ে গুলিবর্ষণ করা হয়েছে। বিদ্যুতের লোড শেডিং ও জ্বালানি খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে রবিবার জেলায় জেলায় সমাবেশ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ভোলার নির্ধারিত কর্মসূচিতে পুলিশ নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায় ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। এতে স্বেচ্ছাসেবক দলের আবদুর রহিমসহ ৫০-এর বেশি নেতাকর্মী আহত হন। বিএনপি এই ঘটনার প্রতিবাদে আজ সারা দেশে গায়েবানা জানাজা এবং আগামীকাল বিক্ষোভ সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করে।
এই গায়েবানা জানাজায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমানউল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, আতাউর রহমান ঢালী, কেন্দ্রীয় নেতা ফজলুল হক মিলন, খায়রুল কবির খোকন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, আবদুস সালাম আজাদ, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, কামরুজ্জামান রতন, হারুনুর রশীদ, আমিরুজ্জামান শিমুল, আকরামুল হাসান মিন্টু, শায়রুল কবির খান, আবদুস সাত্তার পাটোয়ারি, মহানগর বিএনপির আমিনুল হক, রফিকুল আলম মজনু, হাবিবুর রশীদ হাবিব, স্বেচ্ছাসেবক দলের মোস্তাফিজুর রহমান, সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, যুবদলের মামুন আহমেদ, মোনায়েম মুন্না, কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ জাতীয় আরো খবর..