×
  • প্রকাশিত : ২০২২-০৭-৩১
  • ৭৭ বার পঠিত
বাংলাদেশের ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই
শেষ দিকে লড়াইটা হয়ে দাঁড়িয়েছিল নুরুল হাসান বনাম জিম্বাবুয়ের। তবে অধিনায়কত্ব–অভিষেকে ব্যাটসম্যান নুরুলের সামনে সমীকরণটা ছিল বেশ কঠিন। যখন নেমেছেন, বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ৪৫ বলে ১০০ রান। শেষ ২ ওভারে সেটি গিয়ে দাঁড়াল ৩২ রানে, শেষ ওভারে ২৮। নুরুলের ২৬ বলে ৪২ রানের অপরাজিত ইনিংস তাই শেষ পর্যন্ত পরাজয়ের ব্যবধানই কমাতে পারল শুধু। 

সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের চিত্রটা ছিল এমন। এর আগে এলোমেলো বোলিং আর পিচ্ছিল ফিল্ডিং-ও ভুগিয়েছে নুরুলের দলকে। তিন ম্যাচ সিরিজে বাংলাদেশ পিছিয়ে গেছে ১-০ ব্যবধানে। হারারেতে একই মাঠে আজ দ্বিতীয় ম্যাচ, ঘুরে দাঁড়াতে পারবে বাংলাদেশ? 

প্রথম আলোর সরাসরি আপডেটে আপনাকে স্বাগত!

আরও পড়ুন
এলোমেলো বোলিং, দিশাহীন ব্যাটিংয়ে জিম্বাবুয়ের কাছে হার
অধিনায়কত্ব–অভিষেকে নুরুল হাসানের (বাঁয়ে) ২৬ বলে ৪২ রানের অপরাজিত ইনিংসটি শুধু পরাজয়ের ব্যবধানই কমাতে পেরেছে

১৬: ৩৩, জুলাই ৩১
টস
আবার টসে জিতেছেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন। আবারও ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।

৭ উইকেটের জয়ে সিরিজে সমতা ফেরাল বাংলাদেশ

১৬: ৩৬, জুলাই ৩১
বাদ নাসুম, তাসকিন; দলে হাসান ও মেহেদী
দ্বিতীয় ম্যাচে বাদ দেওয়া হয়েছে নাসুম আহমেদ ও তাসকিন আহমেদকে। দলে এসেছেন অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান ও পেসার হাসান মাহমুদ। ২০২০ সালের মার্চে ক্যারিয়ারের একমাত্র আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিটি খেলেছিলেন হাসান। 

বাংলাদেশ একাদশ

লিটন দাস, মুনিম শাহরিয়ার, এনামুল হক, নাজমুল হোসেন, মোসাদ্দেক হোসেন, আফিফ হোসেন, নুরুল হাসান (অধিনায়ক, উইকেটকিপার), মেহেদী হাসান, হাসান মাহমুদ, মোস্তাফিজুর রহমান, শরীফুল ইসলাম

১৬: ৫৫, জুলাই ৩১
অপরিবর্তিত জিম্বাবুয়ে
প্রথম ম্যাচের ‘উইনিং কম্বিনেশন’ ধরে রেখেছে জিম্বাবুয়ে। 

জিম্বাবুয়ে একাদশ 

রেজিস চাকাভা, ক্রেইগ আরভিন (অধিনায়ক), ওয়েসলি মাধেভেরে, শন উইলিয়ামস, সিকান্দার রাজা, মিল্টন শুম্বা, রায়ান বার্ল, লুক জঙ্গোয়ে, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, রিচার্ড এনগারাভা, টানাকা চিভাঙ্গা

১৭: ০১, জুলাই ৩১
প্রথম বলেই মোসাদ্দেকের আঘাত
এর চেয়ে ভালো শুরু হয়ত পেতে পারত না বাংলাদেশ! 

প্রথম ওভারেই এসেছেন মোসাদ্দেক হোসেন। প্রথম বলটা ছিল অফ স্টাম্পের বেশ বাইরে। তাতেই ব্যাট চালিয়েছিলেন রেজিস চাকাভা। আউটসাইড-এজড হয়েছেন তিনি, উইকেটের পেছনে ভালো ক্যাচ নিয়েছেন নুরুল হাসান। জিম্বাবুয়ে উইকেট হারিয়েছে প্রথম বলেই।

টি-টোয়েন্টিতে এ নিয়ে সপ্তম বার প্রথম বলেই উইকেট পেল বাংলাদেশ। 


১৭: ০৫, জুলাই ৩১
প্রথম ওভারে মোসাদ্দেকের ২ উইকেট
আবারও অফ স্টাম্পের বেশ বাইরে বল। আবারও ব্যাট চালালেন ব্যাটসম্যান। এক্ষেত্রে ব্যাটসম্যান ওয়েসলি মাধেভেরে। ব্যাটে বলে করেছিলেন, তবে সোজা ক্যাচ গেছে কাভারে। প্রথম ওভারের শেষ বলে দ্বিতীয় উইকেটটি পেয়ে গেছেন মোসাদ্দেক। বোলিংয়ে স্বপ্নের মতো শুরু পেয়েছে বাংলাদেশ!

জিম্বাবুয়ে ১ ওভারে ৫/২।

১৭: ১৪, জুলাই ৩১
মোসাদ্দেকের তৃতীয় উইকেট
মোসাদ্দেকের দ্বিতীয় ওভার, জিম্বাবুয়ের আরেকটি উইকেট! এবার তাঁর শিকার ক্রেইগ আরভিন। 

অফ স্টাম্প ঘেঁষা লাইনের বলে রিভার্স সুইপ করতে চেয়েছিলেন আরভিন। তবে টাইমিং করতে পারেননি। গ্লাভসে লেগে বল গেছে স্লিপে, যেখানে বেশ ভালো ক্যাচ নিয়েছেন লিটন দাস। ৬ রানে তৃতীয় উইকেট হারিয়েছে জিম্বাবুয়ে, সব কটি উইকেটই নিয়েছেন মোসাদ্দেক হোসেন।


১৭: ২৪, জুলাই ৩১
৩ ওভারে মোসাদ্দেকের ৪ উইকেট
মোসাদ্দেক হোসেন আসছেন, আর উইকেট নিচ্ছেন জিম্বাবুয়ের। ইনিংসের পঞ্চম ও নিজের তৃতীয় ওভার করতে এসে এ অফ স্পিনার ফেরালেন শন উইলিয়ামসকে। মোসাদ্দেককে আক্রমণ করতে গেছেন তিনিও। ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসে খেলতে গিয়ে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন উইলিয়ামস। জিম্বাবুয়ে চতুর্থ উইকেট হারিয়েছে ২০ রানের মাথায়।

১৭: ২৮, জুলাই ৩১
মোসাদ্দেকের রেকর্ড
৩ ওভার, ১৪ রান, ৪ উইকেট। মোসাদ্দেক হোসেনের এ ম্যাচে এখন পর্যন্ত বোলিং ফিগার। টি-টোয়েন্টিতে এটিই সেরা বোলিং তাঁর, এর আগেরটি ছিল ২১ রানে ২ উইকেট। শুধু নিজের নয়, বাংলাদেশেরও একটা রেকর্ড গড়ে ফেললেন তিনি। বাংলাদেশের কোনো ডানহাতি স্পিনারের জন্য টি-টোয়েন্টিতে এখন এটিই সেরা বোলিং। এর আগের রেকর্ডটি ছিল মাহমুদউল্লাহর—১০ রানে ৩ উইকেট।

৭ উইকেটের জয়ে সিরিজে সমতা ফেরাল বাংলাদেশ
এএফপি

১৭: ৩৪, জুলাই ৩১
ইলিয়াস, সাকিব, মোস্তাফিজের পর মোসাদ্দেকের পাঁচ
এক, দুই, তিন, চার… পাঁচ! 

নিজের শেষ ওভারে এসে পঞ্চম উইকেটটিও পেয়ে গেলেন মোসাদ্দেক। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ইলিয়াস সানি, সাকিব আল হাসান ও মোস্তাফিজুর রহমানের পর চতুর্থ বোলার হিসেবে এ কীর্তি গড়লেন মোসাদ্দেক। তাঁর সর্বশেষ শিকার মিল্টন শুম্বা। স্লগ সুইপ করতে গিয়ে মিডউইকেটে হাসান মাহমুদের ভালো ক্যাচে পরিণত হয়েছেন শুম্বা। জিম্বাবুয়ে পঞ্চম উইকেট হারিয়েছে মাত্র ৩১ রানেই।

৭ উইকেটের জয়ে সিরিজে সমতা ফেরাল বাংলাদেশ
টুইটার
১৭: ৪৮, জুলাই ৩১
ভিন্ন ভূমিকায় রাজা
দ্বিতীয় ওভারেই নামতে হয়েছিল সিকান্দার রাজাকে, জিম্বাবুয়ে ৫ রানে ২ উইকেট হারানোর পর। এরপর আরও তিন সতীর্থকে ড্রেসিংরুমে ফিরতে দেখেছেন তিনি। আগের ম্যাচে ২৫০ স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করা রাজা এখন পর্যন্ত ২৬ বল খেলে করেছেন ২৪ রান, জিম্বাবুয়েকে খাদের কিনার থেকে উদ্ধারের চেষ্টা করে যাচ্ছেন তিনি। 

অন্যদিকে আঁটসাঁট বোলিং করছেন হাসান মাহমুদ ও মেহেদী হাসান। ইনিংসের নবম ওভারে রায়ান বার্লের বিপক্ষে এলবিডব্লুর জোরাল আবেদন করেছিলেন মেহেদী, আম্পায়ার সাড়া দেননি। রিভিউও নেয়নি বাংলাদেশ। মেহেদী প্রথম ২ ওভারে দিয়েছেন মাত্র ৪ রান। 

১০ ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের স্কোর ৫ উইকেটে ৪৬ রান।


১৭: ৫৫, জুলাই ৩১
জিম লেকার: ১৯ উইকেট
এক টেস্টে ১৯ উইকেটের এই রেকর্ডটিকে চিরজীবী বলে মোটামুটি মেনে নিয়েছেন সবাই। 'কোনোদিন ভাঙবে না'...এমন রেকর্ডের তালিকায় ব্র্যাডম্যানের ৯৯.৯৪ ব্যাটিং গড়ের পাশেই রাখা যায় এটিকে।

৬৬ বছর আগে আজকের এই দিনে কীর্তিটি গড়েছিলেন জিম লেকার। 

আরও পড়ুন
জিম লেকারের সেই অমর কীর্তির ৬৬ বছর
জিম লেকারের সেই অমর কীর্তির ৬৬ বছর
১৮: ০৫, জুলাই ৩১
আফিফের ওভারে ১২
ষষ্ঠ বোলার হিসেবে আসা আফিফ হোসেনের ওভারে উঠেছে ১২ রান। সিকান্দার রাজার মারা ছক্কার পর রায়ান বার্ল আফিফকে চার মেরেছেন। জিম্বাবুয়ে ইনিংসে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রানের ওভার এটিই। ১৩ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ৬৭ রান তুলেছে তারা। রাজা ও বার্লের জুটি অবিচ্ছিন্ন ৩৬ রানে। নিশ্চিতভাবেই রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টা করার কথা এখন তাঁদের।

এর আগে রানআউটের হাত থেকে বেঁচে গেছেন বার্ল। মিড অফ থেকে মেহেদীর থ্রো সরাসরি স্টাম্প ভাঙলে ফিরতে হতো তাঁকে। 


১৮: ১৯, জুলাই ৩১
মোস্তাফিজ বনাম রাজা
অফ সাইডে সব ফিল্ডার ছিলেন ৩০ গজের ভেতরে। সে লাইনে তাই খুব বেশি জায়গা নিয়ে বোলিং করার সুযোগ ছিল না মোস্তাফিজের। করলেন লেগ সাইডের বাইরে, সেটিকে কাজে লাগাতে ভুল হলো না রাজার। পরের বলে বৃত্তের বাইরে নেওয়া হলো একজন ফিল্ডারকে। মোস্তাফিজ বোলিং করলেন অফ স্টাম্পের বাইরে। তবে ফিল্ডার ছিলেন স্কয়ারে, ফাইন দিয়ে চার মারলেন রাজা। কেমন ফর্মে আছেন জিম্বাবুইয়ান ব্যাটসম্যান, স্পষ্ট তাতেই! পরের বলটা স্টাম্পে করেছিলেন মোস্তাফিজ, রাজাকে ডিফেন্ড করতে হলো। এরপর অবশ্য শ্যাডো করছিলেন, আর কোন শট খেলতে পারতেন তিনি। পরের বলে মিডউইকেটে ঠেলে ডাবলস নিলেন রাজা, সে দিকে ফিল্ডার ছিলেন ডিপে। শেষ বলে সিঙ্গেল নিয়ে টানা দ্বিতীয় অর্ধশতক পূর্ণ হলো রাজার। এবার লাগল ৪৪ বল। তবে ম্যাচের পরিস্থিতি বিবেচনায় দারুণ গুরুত্বপূর্ণ সেটি জিম্বাবুয়ের জন্য। এর আগেই বার্লের সঙ্গে রাজার জুটি ৫০ রান পেরিয়েছে। ম্যাচের প্রেক্ষিতে যে জুটির গুরুত্বও কম নয়। 

হারারে স্পোর্টস ক্লাবের দর্শকদের সমর্থনের আওয়াজ স্পষ্টই। রাজার ব্যাটিংয়ে সেটি বাড়ছেই শুধু। 

জিম্বাবুয়ে ১৬ ওভারে ৯৪/৫।


১৮: ২৯, জুলাই ৩১
হাসানের প্রথম উইকেট, জিম্বাবুয়ের ১০০
প্রথম বলে চার খেয়েছিলেন, তবে স্টাম্প লাইনে বোলিং করে গেছেন হাসান মাহমুদ। পুরস্কারও পেলেন সেটির। রায়ান বার্ল হলেন বোল্ড, ৩১ বলে ৩২ রান করে। রাজার সঙ্গে বার্লের জুটিতে উঠেছে ৬৫ বলে ৮০ রান। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে হাসানের এটি প্রথম উইকেট। 

আগের ওভারে একাধিক স্লোয়ার চেষ্টা করেছেন শরীফুল। তবে শেষ বলটি আগেভাগেই পড়ে ফেলেছিলেন রাজা, স্লটেও পেয়েছিলেন। মেরেছিলেন ছয়। ওই ছয় দিয়ে জিম্বাবুয়ে পেরিয়েছে ১০০ রান। 

২ ওভার বাকি থাকতে এখন জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১১২ রান। রাজাকে সঙ্গে দিতে এসেছেন লুক জঙ্গুয়ে।


১৮: ৩৩, জুলাই ৩১
রাজাকে থামালেন মোস্তাফিজ
যাওয়ার পথে লুক জঙ্গুয়ের সান্ত্বনা, বা বলা যায় অভিনন্দনই পেলেন সিকান্দার রাজা। তাঁর ইনিংসটা তো অমনই! প্রথম ওভারেই ২ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর নেমেছিলেন, এরপর দলকে পরিণত হতে দেখেছেন ৩১ রানে ৫ উইকেটে। সেখান থেকে যে জিম্বাবুয়ে ১০০ পেরোল, তাতে মূল অবদান রাজার ওই ইনিংসেরই। ৫৩ বলে ৬২ রানের ইনিংসটি শেষ হলো মোস্তাফিজকে তুলে মারতে গিয়ে। খাড়া ওপরে তুলেছিলেন, কাভারে সেটি নিয়েছেন মুনিম শাহরিয়ার।

১৮: ৪৫, জুলাই ৩১
১৩৫ রানে থামল জিম্বাবুয়ে
৩১ রানে নেই ৫ উইকেট, সব কটিই নিয়েছেন মোসাদ্দেক হোসেন। এক সময় চিত্রটা ছিল এমন। মোসাদ্দেক বোলিং শেষ করেন ২০ রানে ৫ উইকেট নিয়ে। 

এরপরও যে জিম্বাবুয়ে হারারেতে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৩৫ রান পর্যন্ত গেল, তাতে মূল অবদান সিকান্দার রাজার ৫৩ বলে ৬২ রানের ইনিংস ও রায়ান বার্লের সঙ্গে তাঁর ৬৫ বলে ৮০ রানের জুটির। বার্ল করেছেন ৩১ বলে ৩২ রান। এ দুজন বাদ দিলে আজ দুই অঙ্ক ছুঁঁয়েছেন আর একজন জিম্বাবুইয়ান। 

আগের দিনের মতোই টসে হেরে ফিল্ডিংয়ে নামা বাংলাদেশের বোলিংয়ের সুরটা ধরিয়ে দেন মোসাদ্দেকই। তবে তুলনামূলক বেশ উন্নতি ছিল আজ। এমন উইকেটে লাইন লেংথের দিকে নজর দিয়েছেন তাঁরা। 

যে দুজন দলে এসেছেন, সেই মেহেদী হাসান ও হাসান মাহমুদও করেছেন আঁটসাঁট বোলিং। ৩ ওভারে মাত্র ১০ রান দিয়েছেন অফ স্পিনার মেহেদী। নিজের প্রথম আন্তর্জাতিক উইকেট নেওয়ার পথে হাসান ৪ ওভারে ২৬ রান দিয়ে নিয়েছেন ১ উইকেট। ৩০ রানে ১ উইকেট নিয়েছেন মোস্তাফিজ। দিনে বাংলাদেশের সবচেয়ে খরুচে বোলার ছিলেন শরীফুল ইসলাম, ৪ ওভারে ৩৭ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকেন তিনি।

সিরিজে সমতা ফেরাতে বাংলাদেশের লক্ষ্য ১৩৬ রান। 


১৯: ১২, জুলাই ৩১
প্রথম ২ ওভারে ১ বাউন্ডারি
প্রথম ওভারের শেষ বলে ওয়েলিংটন মাসাকাদজাকে চার মেরেছেন মুনিম শাহরিয়ার। প্রথম ২ ওভারে বাংলাদেশের বাউন্ডারি ওই একটিই। অবশ্য উইকেট পড়েনি এখনো। এক প্রান্তে স্পিনারের সঙ্গে অন্য প্রান্তে পেসার এনেছেন ক্রেইগ আরভিন, মাসাকাদজার পর দ্বিতীয় ওভার করেছেন রিচার্ড এনগারাভা। ২ ওভারে বাংলাদেশ তুলেছে ১০ রান।

১৯: ১৭, জুলাই ৩১
চিভাঙ্গার শর্ট বলে চড়াও লিটন
টানাকা চিভাঙ্গা শর্ট বল করেছেন, সেটির জবাব একেকবার একেকভাবে দিয়েছেন লিটন দাস। ফল অবশ্য একই হয়েছে তিনবারই—বাউন্ডারি। প্রথমে টপ এজে ছয়, এরপর ফাইন লেগ দিয়ে চার, এরপর স্কয়ার লেগ দিয়ে ছয়। চিভাঙ্গার করা ইনিংসের তৃতীয় ওভারে উঠেছে ১৭ রান। 

৩ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ২৭/০।


১৯: ২৪, জুলাই ৩১
ফিরলেন মুনিম
এমন শট খেললে আত্মবিশ্বাস থাকতে হয় তুঙ্গে, অথবা আশা করে থাকতে হয়—বাজে কিছু হবে না। দুটি ক্ষেত্রেই মুনিম শাহরিয়ার পিছিয়ে। রিচার্ড এনগারাভার স্লোয়ারে আড়াআড়ি শট খেলতে গিয়ে পুরো মিস করে বোল্ড হয়েছেন মুনিম। প্রথম ম্যাচে ৮ বলে ৪ রানের পর আজ তরুণ ওপেনার ফিরেছেন ৭ বলে ৭ রান করেই। পঞ্চম ওভারে ৩৭ রানে প্রথম উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ।

১৯: ২৯, জুলাই ৩১
পাওয়ারপ্লেতে ৫৩ রান
ওয়েলিংটন মাসাকাদজার করা ষষ্ঠ ওভারে এসেছে দুটি চার। একটি মেরেছেন লিটন, অন্যটি তিনে আসা এনামুল হক। আগের দিনের চেয়ে ভালো শুরু করেছেন এনামুল, প্রথম ৬ বলে করেছেন ১০ রান। মুনিমকে হারালেও বাংলাদেশের শুরুটা হয়েছে ইতিবাচকই। প্রথম ৬ ওভারে উঠছে ৫৩ রান।

১৯: ৩৭, জুলাই ৩১
লিটনের ৫০
প্রথম ম্যাচে বড় স্কোরের সুযোগ হারিয়েছেন লিটন দাস, বলাই যায়। ভালো শুরুর পর আউট হয়েছিলেন নাটকীয়ভাবে, যদিও শুরুতে শটটা আলগাই খেলেছিলেন। দ্বিতীয় ম্যাচে এখন পর্যন্ত ভালোই ‘ক্ষতিপূরণ’ করছেন বাংলাদেশ ওপেনার। ২৮ বলেই পূর্ণ করে ফেলেছেন অর্ধশতক। 

১৩৬ রানের লক্ষ্য, সে অর্থে চাপ নেই তাই রান তাড়ায়। লিটনও এখন পর্যন্ত খেলছেন স্বচ্ছন্দেই। রায়ান বার্লের শর্ট বলে টেনে চার মেরে মাইলফলকে গেছেন তিনি। ক্যারিয়ারে এটি ষষ্ঠ অর্ধশতক তাঁর।

১৯: ৪২, জুলাই ৩১
ফিফটির পরপরই ফিরলেন লিটন
অর্ধশতক পেলেন, এর পরপরই ফিরতে হলো লিটনকে। শন উইলিয়ামসকে সুইপ করতে গিয়ে এলবিডব্লু হয়েছেন তিনি ৩৩ বলে ৫৬ রান করার পর। আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অবশ্য খুব একটা সন্তুষ্ট মনে হয়নি তাঁকে, তবে সিরিজে রিভিউ নেই। বাংলাদেশ দ্বিতীয় উইকেট হারিয়েছে ৭৮ রানে।

১৯: ৪৫, জুলাই ৩১
লিটনের পর নেই এনামুলও
২৭ বলে ২৬। 

১৫ বলে ১৬। 

সিরিজে এনামুল হকের দুই ইনিংস। সিকান্দার রাজাকে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে ক্যাচ তুলে ফিরলেন আজ। ৪ বলের মধ্যে ২ উইকেট হারাল বাংলাদেশ। ৭৮ রানে ১ উইকেট থেকে ৮১ রানে ৩ উইকেটে পরিণত হলো তারা।

৬০ বলে জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ৫৪ রান। 

২০: ০২, জুলাই ৩১
সতর্ক আফিফ ও নাজমুলে এগোচ্ছে বাংলাদেশ
৪ বলের মধ্যে লিটন ও এনামুলকে হারানোর পর সতর্ক ব্যাটিং করছেন আফিফ হোসেন ও নাজমুল হোসেন। আফিফ অবশ্য আক্রমণের আভাস দিয়েছেন। মাধেভেরেকে মেরেছেন প্রথম ছক্কা, ইনিংসে প্রথম বাউন্ডারি সেটি। ৩০ বলে বাংলাদেশের প্রয়োজন ২২ রান।

২০: ১৫, জুলাই ৩১
৭ উইকেটের জয়ে সিরিজে সমতা ফেরাল বাংলাদেশ
লক্ষ্য ছোট, বাংলাদেশও সেটি পেরিয়ে গেল বেশ অনায়াসেই। মাঝে ৪ বলের মধ্যে লিটন দাস ও এনামুল হককে হারালেও আফিফ হোসেন ও নাজমুল হোসেন ঝুঁকি নেননি আর। লিটনের ৩৩ বলে ৫৬ রানের ইনিংসেই মূলত কাজটা সহজ হয়ে এসেছিল ব্যাটিংয়ে। ১৫ বল বাকি থাকতেই ৭ উইকেটের জয়ে ৩ ম্যাচ সিরিজে সমতা আনল বাংলাদেশ। আফিফ অপরাজিত ছিলেন ২৮ বলে ৩০ রানে, নাজমুল ২১ বলে ১৯ রানে।

এর আগে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নামা জিম্বাবুয়ে পড়ে মোসাদ্দেক হোসেনের তোপে। ইনিংসের সপ্তম ওভারেই ৫ উইকেট হারায় তারা, সব কটি উইকেটই নেন মোসাদ্দেক। এরপর সিকান্দার রাজার অর্ধশতক, রায়ান বার্লের সঙ্গে তাঁর ৮০ রানের জুটিতে ১৩৫ রান তুলেছিল জিম্বাবুয়ে। তবে যথেষ্ট হয়নি সেটি।

২২: ০৩, জুলাই ৩১
এক দিনে কত কিছুই না বদলে যায়!
একই মাঠ, প্রায় একই ধরনের উইকেট। টস–ভাগ্যও একই। কিন্তু বদলে গেল ফলটা, সেটিও প্রায় ১৮০ ডিগ্রি। মোসাদ্দেক হোসেনের ৫ উইকেট, লিটন দাসের অর্ধশতকে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৭ উইকেটের অনায়াস জয়ে ৩ ম্যাচ সিরিজে সমতা ফেরাল বাংলাদেশ। ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে সিকান্দার রাজার টানা দ্বিতীয় অর্ধশতকে ১৩৫ রান পর্যন্ত গেলেও বাংলাদেশ সেটি টপকে গেছে ১৫ বল ও ৭ উইকেট বাকি রেখেই। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং—হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে তিন বিভাগেই আগের দিনের তুলনায় পুরো অন্য চেহারায় দেখা দিয়েছে বাংলাদেশ।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat