সরকার ইভিএমে আগামীতে ‘ভোট লুট’ করা্র চক্রান্ত করছে বলে অভিযোগ করেছেন নজরুল ইসলাম খান। আজ রবিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এই অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ‘তারা ক্ষমতায় থেকে ভোট চুরি করেছে, ডাকাতি করেছে। এবার তারা ইভিএমের নামে লুট করতে চায়।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, কিছুতে দেওয়া হবে না, কোনো মতেই নয়। এদেশটা আমরা লিজ দেই নাই কাউকে। এদেশ আমাদের, এদেশকে আমরা বাঁচাব ইনশাল্লাহ। ’
বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় রেখে নির্বাচন নয় উল্লেখ করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আজকে মানুষের কল্যাণ নিশ্চিত করতে হলে আমাদের স্থায়ী একটা ব্যবস্থা করতে হবে। আর সেই কারণে দরকার জনগনের প্রতিনিধিত্বশীল সরকার। আর সেরকম কখনো এদেশে কায়েম হবে না যদি এই সরকার ক্ষমতায় থাকে। ’
বিদ্যুতের লোডশেডিং ও জ্বালানি খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে সারাদেশে জেলায় জেলায় বিক্ষোভ সমাবেশের অংশ হিসেবে ঢাকা জেলা বিএনপির উদ্যোগে এই সমাবেশ হয়। কেরানীগঞ্জ, ধামরাই, সাভার, নবাবাগঞ্জ ও দোহার থানা থেকে নেতা-কর্মীরা হাত পাখা ও হারিকেন হাতে নিয়ে সমাবেশে মুহুর্র মুহুর্র শ্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।
বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে জনদুর্ভোগ প্রসঙ্গে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আজকে দেশের মানুষ কষ্টে আছে। বিদ্যুত নেই। ঢাকায় যারা আছেন কিছুটা ভালো আছেন। কিন্তু গ্রামের মানুষ আরো কষ্টে আছে। সারা দিনে গ্রামে ৪/৫ ঘন্টার বেশি বিদ্যুত থাকে না। এই গরমের দিনে কি কষ্টে আছে মানুষ বুঝুন। কৃষকরা যারা পাম্প দিয়ে ক্ষেতে চাষ করে তাদের পাম্প চলা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এতে যদি পানি না দিতে পারে তাহলে ফসল উতপাদন হবে। ক‘দিন পরে যখন ফসল একটু বড় হবে তখন সারও লাগবে। এই সরকার বিদ্যুতের অভাব দেখিয়ে, জ্বালানি তেলের অভাব দেখিয়ে সার কারখানা বন্ধ করে দিয়েছে। কোথায় পাবে মানুষ সার, কিভাবে দেশের কৃষির উন্নয়ন হবে, আমার কোটি কোটি কৃষক বাঁচবে কিভাবে। আমাদেরকে পুরোপুরিভাবে পরনির্ভরশীল করার চেষ্টা হচ্ছে। ’
খেলাপী ঋণ প্রসঙ্গে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘মাত্র কিছুদিন আগে বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন সার্কুলার জারি করেছে, আগের যাদের খেলাপী ঋণ ছিলো তাদের ১০ থেকে ৩০ শতাংশ টাকা পরিশোধ করে ঋণ পরিশোধের নতুন সিডিউল করতে হতো এবং না দিলে জরিমানার পরিমান ছিলো প্রায় ১০ শতাংশ। এখন নতুন আইন হয়েছে যা এখন দুই বছরের মধ্যে না, ১০ বছরের মধ্যে ঋণ পরিশোধ করলে চলবে। আর যে পরিমান টাকা জমা দিয়ে সিডিউল করবেন সেটা ১০ থেকে ৩০ না, আড়াই থেকে ৬ ভাগ টাকা পরিশোধ করে ঋণ শিডিউল করতে পারবেন। এই যে খেলাপীদের যাদের তাদেরকে এই সুবিধা দেয়ার অর্থটা কী? তারা হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে খেলাপী বসে থাকবেন আর জনগনের পকেট কেটে আপনার ট্যাক্স বসাবেন, ভ্যাট বসাবেন নতুন করে- এটা জনগন মানতে রাজি নয়। ’
জেলা বিএনপির সভাপতি দেওয়ার মো. সালাউদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাকের পরিচালনায় সমাবেশে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরী, জেলার কেন্দ্রীয় নেতা নাজিম উদ্দিন মাস্টারসহ নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
এ জাতীয় আরো খবর..